• জাতীয়

    অবৈধ নির্বাচনে সহযোগীদেরও জনগণ ক্ষমা করবে না-ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ

      প্রতিনিধি ২৯ নভেম্বর ২০২৩ , ৭:৩০:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    আহমাদুল্লাহ হাবিবী-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    বাংলাদেশের সমস্যা ভারতে সমাধান করার জন্য আমরা দেশকে স্বাধীন করিনি। তলে তলে আপোষের বার্তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিয়ে অঙ্গরাজ্য বানানোর পায়তারা করছে আওয়ামী সরকার। বর্তমান আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন আওয়ামী সরকারের দলদাসে পরিণত হয়েছে। শিক্ষিত হয়েও জালেমের পক্ষে ও মজলুমদের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন আয়োজনের নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এদেশের জনগণ হাবিবুল আউয়াল কমিশনকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বর্তমান আওয়ামী সরকারের পাতানো অবৈধ নির্বাচনে যারাই সহযোগী হবে দেশবাসী তাদের কাউকে ক্ষমা করবে না।

    ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তামাশার তফসিল বাতিল এবং সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিয়ে অবাধ- সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আজ ২৯ নভেম্বর’২৩, বুধবার দুপুর ২:৩০ এ জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এর সঞ্চালনায় ঢাকা মহানগর পশ্চিম’র সভাপতি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ ।

    তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত নির্বাচনে দেশের মানুষকে এই আশা দিয়েছিলেন যে, আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে আমার উপর আস্থা রাখুন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা এদেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। বাংলার মানুষ বারবার ফাঁদে পা দিবে না। উন্নয়নের ফাঁকা বুলি স্বৈরাচারের টিকে থাকার প্রধান হাতিয়ার। আজকে বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত। দেশের মানুষ উন্নয়নের ফাঁকা বুলি শুনতে চায়না তারা ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়।

    তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মীরা নব্য রাজাকারের রূপ ধারণ করেছে। দেশকে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়ার পায়তারা করছে তারা। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাসা চিহ্নিত করে আওয়ামী প্রশাসন দিয়ে গ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশি পাহারায় এই ধরনের জঘন্য ফৌজদারি অপরাধ করা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আইন হাতে তুলে নিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। রাজনীতি করা দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। শুধুমাত্র বিরোধী মত লালন করায় দমন পীড়ন দেশকে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।

    খেলোয়াড়, নায়ক, গায়কদের নমিনেশন দেওয়া প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগ একটি জনবিচ্ছিন্ন সংগঠনের পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই পাতানো নির্বাচনে কোন সচেতন নাগরিক ভোট কেন্দ্র যাবে না বরং ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটাবে।

    তাই অনতিবিলম্বে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তামাশার তফসিল বাতিল এবং সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিয়ে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আল আমিন সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন, প্রকাশনা সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ আলী হায়দার, কওমি মাদ্রাসা সম্পাদক হোসাইন আহমেদ, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইব্রাহিম খলিল, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক সাব্বির আহমাদ, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি ইউসুফ পিয়াস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি
    এইচ এম কাওসার মাহমুদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি এম. মাইদুল হাসান সিয়াম প্রমূখ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ