• আইন ও আদালত

    পাঁচলিয়ায় ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করছেন না সাধারণ মানুষ বাড়ছে প্রাণহানির আশংকা

      প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২:২৯:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শাহাদত হোসেন (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে উল্লাপাড়া উপজেলার পাঁচলিয়া বাজার এলাকায় মহাসড়কের উপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ফুট ওভার ব্রিজটি ব্যবহার না করে ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে বড় ধরণের দুর্ঘটনাসহ প্রাণহাণির আশংকা করছেন স্থানীয় সচেতন জনগন মহল।

    উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাঁচলিয়া বাজারসহ মহাসড়কের দু’পাশে ছোট বড় অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় এলাকার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। অত্র এলাকার ব্যবসায়ী, স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী ও পার্শ্ববর্তী স্কুলের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ত এ মহাসড়ক পার হচ্ছে। এতে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় জীবনহানির ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের প্রথম দিকে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে সমগ্র এলাকা ফুসে ওঠে। এলাকাবাসী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য-তানভীর ইমাম এ স্থানটিতে ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণের ঘোষনা দেন। ২০১৮ সালে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ সম্পূর্ন হয় এবং ১ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে এটি উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু মহাসড়কের উপর নির্মিত দৃষ্টি নন্দন ফুট ওভার ব্রিজটি কোন পথচারি ব্যবহার করছে না। ফলে ওভার ব্রিজটি বর্তমানে কোন কাজেই আসছে না। ওভার ব্রিজ ব্যবহার না করেই প্রতিদিন শত শত মানুষ পায়ে হেঁটে, দৌঁড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার হচ্ছে।

    এ মহাসড়কে দিয়ে ঢাকা ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে হাজার হাজার বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেট যানবাহন চলাচল করে দ্রুত গতিতে। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের প্রাণহানির আশংকা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগী হয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এবং ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার জন্য দাবি জানিয়েছেন তারা।

    আরও খবর

    বাউফলে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে নৌকার সমার্থকরা

    দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায় ঘোড়াঘাট পৌরসদরে গরু চুরির হিড়িক। 

    নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ গ্রেফতার-৪

    সলঙ্গায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নারী এনজিও কর্মীসহ নিহত ২

    পুরুষশূন্য মাশিকাড়া গ্রাম কাটছে না আতঙ্ক প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার দাবি নারীদের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ অর্ধশত গ্রামবাসী আহত হওয়ার ঘটনার ৪ দিন পর গতকাল শনিবার দুপুরেও ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দুপুরের পরও ওই এলাকায় মানুষজনের তেমন উপস্থিতি ছিলনা। খুলেনি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মাশিকাড়া বাজার ও মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় ছিল পুলিশি টহল এবং সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারি। এ ছাড়া গত বুধবারের ওই সহিংসতার পর থেকে এখন পর্যন্ত হওয়া দুইটি মামলায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেবীদ্বার উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোক্তল হোসেনকে উদ্ধারের ঘটনায় অভিযান চালাতে গিয়ে এ তা-ব চালানোর অভিযোগ উঠল দেবীদ্বার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষের একটি প্রভাবশালী চক্রের প্ররোচনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশ এই কাজ করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে উদ্বেগ আর আতঙ্ক কাটেনি নির্যাতনে শিকার ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়দের। মাশিকাড়া গ্রামের সাথে আশপাশের আরো দুটি গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। যাদের প্রায় সবাই গত বুধবারের সহিংসতায় হতবাক। আতঙ্কিত শিশুরাও। কোনকিছুর শব্দ ও আগুন দেখলে অনেকেই চমকে উঠছেন। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে মাশিকাড়া গ্রামসহ আশপাশের আরো অন্তত দুই গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা। সবার মধ্যে একটাই আতঙ্ক, আর তা হলো যদি আবার এসে পুলিশ হামলা ও গুলি করে। বাড়িতে থাকতে নিরাপদ বোধ করছে না কেউই। অবশ্য মামলা ও পুলিশি অভিযানের কারণে বাড়িতে থাকার মতো পরিস্থিতিও নেই। অনেকেই নিজেদের বাড়ি ছেড়ে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর পরিবার কারও সাহায্য-সহযোগিতা চান না। তারা শুধু নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তা চান, নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চায় তারা। গতকাল সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাদের কাছে এমন দাবি জানান তারা। সাংবাদিকদের কাছে তারা সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারেরও দাবি জানান। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাশিকাড়া ও শাকতলা গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দার চোখে-মুখে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার ছাপ। মাশিকাড়া বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা মো. মনু মিয়া (৬০) বলেন, ‘আমরা এতো বছর ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে সবাই বসবাস করে আসছি। আমরাও এখানে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেছি, একই সঙ্গে খেলাধুলা করেছি। কখনো কারো সাথে কোনো বিরোধ হয়নি। এক শিক্ষকের অনৈতিক আচরনের জন্য তার পক্ষের বহিরাগত কিছু লোক এসে এখানের মানুষজনকে উসকে দিয়ে এই কাজগুলো করাচ্ছে। এই মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।’ গত বুধবার বিকেলে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ ববিদ্যালয় এলাকায় স্থানীয় জনতা-ছাত্র ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এই সহিংসতায় সাত পুলিশসহ স্থানীয় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। শাকতলা গ্রামের রাজিয়া বেগম বলেন, ‘সেদিনের হামলার বীভৎসতায় আমার সাত বছরের ছেলে এখনো আঁতকে ওঠে। পুলিশ দেখলে ভয়ে কেঁদে ফেলে। এমন অবস্থা আমাদের প্রত্যেক পরিবারের। আমরা সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাই।’ ওই ঘটনায় নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর বাবা ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার বাদী মো. শফিউল্ল্যাহ বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই।’ মামলা ও গ্রেপ্তার- বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় আলাদা দুইটি মামলা করা হয়েছে। দেবীদ্বার থানায় হামলা ভাঙচুর, লুটপাট, সরকারি কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও যৌন হয়নরানীর শিকার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি একটি মামলা করা হয়। এ দুই মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত যৌন নিপীড়ক প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনসহ এ পর্যন্ত ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইিম এন্ড অপস্) খন্দকার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগে দুইটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। ওখানকার দায়িত্বরত পুলিশের কোন গাফলতি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    মহেশখালী কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান দ্বারা সাংবাদিক লাঞ্চিতের অভিযোগ 

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ