• আইন ও আদালত

    সলঙ্গায় শশুর কর্তৃক ছেলের বউকে ধর্ষণ অবশেষে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

      প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২:২০:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় শশুর কর্তৃক ছেলের বউ কে ধর্ষণ অবশেষে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বুধবার(১৪ সেপ্টেম্বর/২২) সন্ধা ৬টার সময় সরজমিন গিয়ে জানাযায়, সলঙ্গা থানার সলঙ্গা ইউনিয়নের নাইমুড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সোলাইমান শেখের ছেলে আঃ রহমান(লকাই) এর মেয়ে রিতা খাতুনের সাথে এক বছর পূর্বে তাড়াশ উপজেলাধীন মাধাইনগর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে নাজমুল হকের ইসলামের শরীহা মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতেই শশুরের কু-দৃষ্টি পরে ছেলের বউয়ের প্রতি। বিভিন্ন সময় কারনে অকারণে ছেলের বউকে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। বিষয়টি ছেলের বউ তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে এবং বলে আপনি আমার পিতার সমতুল্য, শশুর মানেই পিতা, আপনার এ প্রস্তাব আমার পক্ষে মানা সম্ভব নয়। বিষয়টি শাশুড়ীকেও অবগত করেও কোন ফলাফল নেই। সুযোগ পেলেই ছেলের বউকে জরিয়ে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এবং পাষণ্ড শশুর বলে আমার ছেলে ছোট মানুষ তোমার চাহিদা পুরন করতে পারেনা তাই তোমার সব চাহিদা আমি পুরুন করবো আর আমার ছেলে তো গাড়ীর ড্রাইভার এবং নেশা গ্রস্থ সে ঠিকমতো বাড়ীও থাকেনা। তুমি কাউকে এসব কথা বলবে না বলে ভয়ভীতি ও হুমকি দেখায়। বিষয়টি ভুক্তভোগী বউ তার বাবা-মাকে অবগত করে। তারাও এসে একাধিক বার ঘরোয়া পরিবেশে বিচার করে কিন্ত এতেও পাষণ্ড থামেনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ গত রমজান মাসে ছেলের বউ কে বিয়াইবাড়ী হতে নিজ বাড়ী আনার পথে রাস্তার মধ্যে গায়ে হাত দেয় এবং কু-প্রস্তাব দেয়। শশুরের এই পশুহীনতার কারনে ভুক্তভোগী রিতা খাতুন এখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ বিষয়টি রিতা খাতুন বাবা-মা কে জানান। অতঃপর আজ থেকে ১৫দিন পূর্বে কৌশলে তাদের মেয়েকে নিজবাড়ী নাইমুড়ী গ্রামে নিয়ে আসেন। এরপর ১৪সেপ্টেম্বর/২২ইং তারিখ বুধবার শশুর আলাউদ্দীন কে ছেলে বউ নিয়ে যাওয়ার জন্য বিয়াই আঃ রহমান দাওয়াত করেন। পাষণ্ড শশুর তার স্ত্রী কে সঙ্গে নিয়ে ছেলে বউ নিতে চলে আসেন বিয়াইবাড়ী। আর এ সময় বিয়াই আঃ রহমান(লকাই) তাদেরকে আটকে রেখে গ্রাম্য প্রধান গনকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে নাইমুড়ী গ্রামের উল্লেখযোগ্য প্রধানবর্গ যেমন, সাবেক ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান আতিক,জিল্লুর রহমান ঠান্ডু,বেল্লাল হোসেন মন্ডল,আবু হানিফ,আফাল প্রামানিক, সহ শত শত জনগন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। প্রধানগন এসে এ ঘটনাটি মাধাইনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের কে অবগত করেন। চেয়ারম্যান সাহেব তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিনিধি হিসাবে ছোট ভাইকে ঘটনা স্থলে পাঠিয়ে দেন। সে এসে নাইমুড়ী গ্রামের উপরে উল্লেখিত প্রধান বর্গদের সাথে সমম্বয় মাধ্যমে সুকৌশলে ৭দিনের সময় নিয়ে ধর্ষণকারীকে উদ্ধার করে নিজ গ্রাম লক্ষিপুর নিয়ে আসেন। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
    এ সময় ধর্ষণকারী পাষণ্ড শশুর আলাউদ্দীন, সাবেক ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান আতিকের পা জরিয়ে ধরে চিৎকার করে উপস্থিত জনসম্মুখে ক্ষমা ভিক্ষা চান।
    ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান আতিক বলেন, বিষয়টি পারিবারিক,এটা নিয়ে কোন কিছু না লিখতে সাংবাদিকদের নিষেধ করেন।
    শশুর কর্তৃক ছেলের বউ কে ধর্ষণ, আবার ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা , বিষয়টি ছোট খাটো নয়। এটা ধামাচাপা দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক ধর্ষণকারী কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী ।

    মোঃ মিজানুর রহমান
    জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
    মোবাঃ ০১৭৫৭৪৭৮৮৮৬
    তাং ১৫.০৯.২২ইং

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ