• ময়মনসিংহ বিভাগ

    শেরপুরে ছাত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৪ কিশোর গ্রেপ্তার: আদালতে দুইজনের স্বীকারোক্তি।

      প্রতিনিধি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২:৫৮:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মনিরুজ্জামান মনির-শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

    শেরপুরে লেবুবাগান থেকে মো. নাইম মিয়া ওরফে লাবন (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৪ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সদর উপজেলার বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের সুবর্ণেরচর গ্রামের আমজাদ আলী ফকিরের ছেলে নয়ন (১৪), আকরাম মিয়ার ছেলে হৃদয় (১৫), মঞ্জু মিয়ার ছেলে মনির (১৪) ও দুলাল মিয়ার ছেলে আসলাম (১৪)। এরা সবাই নিহত নাইমের বন্ধু।গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নয়ন ও হৃদয় স্কুলছাত্র নাইমকে হত্যার দায় স্বীকার করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে সদর থানার পুলিশ।

    অপরদিকে শুক্রবার সকালে উপজেলার সুবর্ণেরচর গ্রাম থেকে মনির ও আসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদেরকে সদর থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া শুক্রবার দুপুরে সদর থানা ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দেওয়া প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন। ‘ড্যান্ডি গাম’ নামে এক প্রকার মাদক সেবনের পর নাইম ও তার চার বন্ধু নেশাগ্রস্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারির এক পর্যায়ে বন্ধুদের মারধরে নাইম মারা যায় বলে তিনি জানান।

    গত বুধবার দুপুরে উপজেলার বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের সুবর্ণেরচর গ্রামের একটি লেবুবাগান থেকে নাইমের লাশ উদ্ধার করে সদর থানার পুলিশ। নিহত নাইম সুবর্ণেরচর গ্রামের মো. মাসুদ রানার ছেলে। সে ঘুঘুরাকান্দি গোপালনগর মডেল একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় নাইমের বাবা মাসুদ রানা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

    প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হান্নান মিয়া বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে স্কুলছাত্র নাইম মিয়া সুবর্ণেরচর গ্রামের একটি মাঠে হাডুডু খেলা দেখে। এরপর মঙ্গলবার রাতে সে (নাইম) উপজেলার জঙ্গলদী বাজার থেকে কয়েকটি ড্যান্ডি গাম কিনে তার বন্ধু নয়ন, হৃদয়, মনির ও আসলামকে নিয়ে সুবর্ণেরচর গ্রামের একটি লেবুবাগানে যায়। সেখানে নাইম ও তার বন্ধুরা ড্যান্ডি গাম সেবন করে। এ সময় তারা নেশাগ্রস্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে। এক পর্যায়ে নয়ন, হৃদয়, মনির ও আসলামের উপূর্যপুরি মারধরে নাইম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে তারা কৌশলে চলে যায়।

    সংবাদ পেয়ে গত বুধবার সদর থানার পুলিশ লেবুবাগান থেকে নাইমের লাশ উদ্ধার করে। এরপর হত্যার ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ নয়ন ও হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে। তারা নাইমকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে মনির ও আসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদেরকে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ