• Uncategorized

    জীবননগর রায়পুর গুচ্ছ গ্রামে মাছ  ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিবন্দ্বী পরিবারের ওপর হামলা অন্ত:সত্বাসহ ৮ ব্যাক্তি আহত

      প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২:৪৬:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

     

     

     

    মো, রাশেদুল  ইসলাম(রাশেদ)-চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি’

    চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর গুচ্ছ গ্রামে বসবাসকারী প্রভাশালী গ্রুপের হামলায় অন্ত:সত্বা নারীসহ একই পরিবারের আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্যে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার বিকালে সংটিত হয়েছে। এঘটনায় থানায় চারজনকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

    রায়পুর বাজারপাড়ার মৃত মসলেম মুন্সীর ছেলে কবির হোসেন বলেন,রায়পুর গুচ্ছ গ্রামে সরকারের দেয়া বাড়ীতে আমার জাহাঙ্গীর আলম,আব্দুল মান্নান ও আলামিনরা তাদের বাবা- মা নিয়ে বসবাস করেন। সেখানে সরকারের দেয়া দোয়া নামের পুকুরটি গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা মাছ চাষ করে সবাই সমান ভাবে ভোগ দখলের কথা থাকলেও সেখানে প্রভাবশালী করম আলীর ছেলে আব্দুল মালেক,তাহের আলী,মৃত হানেফ আলীর ছেলে দীপু ও মৃত আজাহার আলীর ছেলে জেহের আলী পেশীশক্তির বলে কথিত লিজের নামে দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগ দখল করে আসছে। এ অবস্থার মধ্যে সম্প্রতি অতি বৃষ্টিির কারনে পুকুর ভেসে মাছ পার্শবর্তী ক্ষেতে যাওয়ায় মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটার সময় আমার ভাইপো জাহাঙ্গীর,আলামিন ও মান্নান সবার সাথে মাছ ধরা কালে সেখানে কথিত লিজ গ্রহনকারিরা হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করে। ঘটনা শুনে আমি,আমার শারীরিক প্রতিবন্দ্বী ভাই হজল মন্ডল ও খলিল মিয়া ও ভাইয়ের অন্ত:সত্বা পুত্রবধু সাবনুর খাতুন,ভাইয়ের জামাতা বিল্লাল হোসেন সেখানে গেলে আমাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। লোকজনের সাহায্যে আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রতিপক্ষরা আমাদেরকে গুচ্ছ গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করতে হুমকি দিচ্ছে।

    আমাদের পরিবারের অধিকাংশ সদস্য জন্ম সুত্রে শারীরিক প্রতিবন্দ্বী এবং হতদরিদ্র। অপরদিকে প্রতিপক্ষরা সরকারি চাকরি বাকরি করে এবং সেখানে পাকা বিল্ডিং গড়ে তুলেছে। ঘটনার ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

    রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহ বলেন,ঘটনার সময আমি এলাকায় ছিলাম না,সন্ধ্যায় বাড়িতে আসার পর ঘটনার কথা লোক মুখে জানতে পারি। গুচ্ছ গ্রামে নিদিষ্ট সংখ্যার বাইরে অনেক মানুষ বসবাস করেন। আগের মত সেখানে অবস্থা নেই।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ মালেক,দীপু,তাহের ও।  জেহের গুচ্ছ গ্রামে প্রভাবশালী হওয়ায় তারা সেখানে বাসিন্দাদের পাত্তা না দিয়ে সেখানে সানুষের ওপর নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে থাকে এবং পুকুরটিও তারা খেয়াল খুশি মত ভোগ দখল করছে। এদিকে মঙ্গলবার বিকালে মাছ ধরার অপরাধে প্রতিবন্দ্বী হজলের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করেন।

    জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম। বলেন,লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। ঘটনাটি আরো তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং জখমীরাও ভাল আছেন

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ