• বরিশাল বিভাগ

    লুটপাট দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা ও অর্থপাচার বন্ধ না হলে দেশে গণরোষ সৃষ্টি হবে-গাজী আতাউর রহমান

      প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২২ , ৪:৫৩:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সরকারের অব্যবস্থাপনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে সঙ্কট উত্তরণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ১৬ জুলাই ২০২২ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দের সাথে ঈদ পরবর্তি শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম,

    অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ্ব শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি হাফেজ জয়নুল আবেদীন, ঢাকা জেলা উত্তর সেক্রেটারি মো. হাসমত আলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলামসহ ঢাকা জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিগত দিনের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থপাচারের কারণে দেশ আজ এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রতিনিয়ত আশংকাজনকভাবে কমছে।

    ফলে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। অথচ এখন বিদ্যুৎ ব্যয়ে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান সরকার প্রধানের। শতভাগ বিদ্যুতায়নের ভেল্কিবাজি দেখিয়ে সরকার এখন সারাদেশে দিনে ১২ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এখন দেশের জ্বালানি নিয়ে শঙ্কিত।

    তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ফলে সরকারের প্রভাবশালী এবং ঘনিষ্ট মিত্ররাও এখন শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, তাদের লুটপাট, দুর্নীতি আর অপরিণামদর্শিতা আজকে গোটা দেশের অর্থনীতিকে এক অন্ধকার পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। এর দায় সম্পূর্ণভাবে এই সরকারকেই নিতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে দেশে তীব্র গণরোষ সৃষ্টি হয়ে অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ