• আইন ও আদালত

    মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করলেন ইউপিঃচেয়ারম্যান নাসির

      প্রতিনিধি ৫ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:৩৫:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ-স্টাফ রিপোর্টার:

    পটুয়াখালীর মির্জাগর্ঞ্জে জমি বিরোধের জেরে থানার গেটের সামনে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এক মুক্তি যোদ্ধাকে মারধর করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান এডঃ আবুল বাসার নাসির।
    থানায় লিখিত অভিযোগের পর চেয়ারম্যানকে পুলিশ আটক করলেও ৪ ঘন্টা পর আবার ছেড়ে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
    একজন মুক্তি যোদ্ধাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত কারার ঘটনায় পটুয়াখালীর মিক্তিয়োদ্ধাদের চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আলোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর মির্জাগন্জ উপজেলার মির্জগজ হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা এর মাজার এলাকায় ৩ এপ্রিল। জানা গেছে, জেলার মির্জাগন্জ হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা( রাঃ) এর মাজার সড়কের পাশে ক্রায়কৃত জমিজমা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার নাসির ও ঐ মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

    এই বিরোধের জেরে গত ৩ এপ্রিল রাত ১০ টার দিকে মির্জাগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাসার নাসির তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে থানার গেটের সামনে তার অস্থায়ী কার্যালয়ে মুক্তি যোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক সিকদারকে ধরে নিয়ে আসেন। জমি নিয়ে তার ঝামেলা না কারার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ নিয়ে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মুক্তি যোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক সিকদারকে চড় থাপ্পড় কিল-ঘুষি লাথি মেরে আহত করে চেয়ারম্যান ও তাট ক্যাডার বাহিনী। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে আহত অবস্থায় মুক্তি যোদ্ধাকে উদ্ধার করে রাত পৌঁনে ১২ টার দিকে মির্জাগন্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

    তিনি বর্তমানে হাসপাতালের ৩ নম্বর কেনবনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এঘটনায় ৪ এপ্রিল আহত মুক্তি যোদ্ধা রাজ্জাক সিকদার তাকে মারধোর অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদার সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মির্জাগন্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানকে মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকেই আটক করে থানায় নিয়ে যায়। চেয়ারম্যানকে আটকের ঘটনাটি জানাজানি হলে ঘটনাটি মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। প্রভাবশালী একটি মহল মুক্তি যোদ্ধাকে মারধরের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগে। মিমাংশার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে একটি প্রভাবশালী মহল। গভীর রাত পর্যন্ত এনিয়ে থানায় চলে সমোঝোতা বৈঠক।

    উপজলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী আতাহার উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ব্যাপারীর নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা সমঝোতা বৈঠকে কয়েকজন বিতর্কিত কয়েকজন ইইপি চেয়ারম্যানও অংশ নেন। প্রভাবশালী মহলের চাপ ও সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের আশ্বাসে মৌখিক মুচলেকা রেখে আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান নাসিরকে মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাক ও তার পরিবারকে এ ঘটনা মিয়ে বাইরেট কারো কাছে মুখ না খোলার জন্য শাসিয়ে দেন সৃোঝোতা বৈঠকের নেতারা ও মির্জাগন্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন। মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাক দারোগা এখন পুলিশ পাহাড়ায় মির্জাগন্জ উপজেলা হাসপাতালে ৩ নম্বর কেবিনে পুলিশ পাহাড়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানাগেছে।

    আহত মুক্তি যোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক সিকদার এর সাথে কথা বলার জন্য মঙ্গলবার রাতে মির্জাগন্জ হাসপাতালে গেলে তিনি অনেক অসুস্থ কথা বলতে পারবেন না বলে দৈনিক বরিশাল সমাচারকে জানান মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের অভিযোগে চেয়ারম্যানকে আটক আবার গভীর ছেড়ে দেওয়ার কারন জানতে চাইলে মির্জাগন্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, চেয়ারম্যানকে আটক করছি কে বলল আপনাকে? চেয়ারম্যান ও মুক্তি যোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক সিকদার একই এলাকার বাসিন্দা তারা মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল তারা মিলে গেছে এবং রাজ্জাক সাহেব তার লিখিত অভিযোগ তুলে নিয়েছেন, আওয়ামীলীগের নেতারা আসছিলো তারা চেয়ারম্যান কে নিয়ে গেছেন। তাদেরকে বিদায় দিয়ে এই বাসায় আসলাম( মঙ্গলবার রাত ১২. ১৪)।

    সমঝোতা বৈঠকের আয়োজক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ব্যাপারী যুগান্তরকে বলেন, চেয়ারম্যান ও মুক্তি যোদ্ধা রাজ্জাক ভাই এর মধ্যে জমিজমা নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। রাজ্জাক ভাই তাকে মারধোরের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৬ নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ চেয়ারম্যানকে থানায় নিয়ে যায় খবর পেয়ে পরে আমি, সভাপতি, ১ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাভলু কাজীসহ নোতারা ব্যাপারটি ফয়সালার আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান নাসিরকে থানা থেকে নিয়ে আসছি। একজম মুক্তিযোদ্ধা কে মারধর করা ঠিক হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, পোলাপান চেয়ারম্যান হইলে যা হয়।

    মুক্তিযোদ্দা রাজ্জাক মিয়াকে মারধরের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদার বলেন, জুয়েল নামে একজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে অফিসে ডেকে আনা হয়েছিল। মারধর ও ঝামেলা হওয়ার কথা বললেই এব্যাপারে এখন আর কথা বলতে চাইনা বলে তিনি ফোন কেটে দেন। সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হালিম যুগান্তরকে বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান,তাকে একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করতে পারে? অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবীও জানান মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনের এই নেতা

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ