• Uncategorized

    ধর্ষণ মামলার স্বাক্ষীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি,সংবাদ সন্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

      প্রতিনিধি ২ মার্চ ২০২১ , ৩:৩৪:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

    ধর্ষণ মামলার স্বাক্ষীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি,সংবাদ সন্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

    বরগুনার আমতলীতে খুন-জখম ও বাড়ী ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন আসামী পক্ষের আত্নীয়রা, নিরাপত্তা হীনতায় স্বাক্ষী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ধর্ষন মামলার স্বাক্ষী।
    সকাল ১১টায় আমতলী রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন মধ্যে আমতলী( কাশ্মির) গ্রামের এক কিশোরী ধর্ষন মামলার স্বাক্ষী নিজাম উদ্দিন খান। সংবাদ সম্মেলনে নিজাম উদ্দিন খান বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামী মালেক খান, তার ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন খান আমাকে স্বাক্ষ্য দিতে নিষেধ করতেছেন। আমি স্বাক্ষ্য দিলে আমাকে খুন-জখম এমনকি বাড়ী ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন। হুমকির এক পযার্য় আসামী মালেক খানের বড় ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন খানের নেতৃত্বে মালেক খান, তার ভাইর ছেলে জাফর খান, চাচাত ভাগিনা শফিক গাজী, ভাগিনা সাইদুল, মালেক খানের আরকে ভাই সেলিম খানসহ একদল সন্ত্রাসী ৯ জানুয়ারী আমার ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করে আমার দু’হাত ভেঙ্গে দেয় এবং আমার সাথে থাকা নগদ টাকা, একটি মোবাইল, আমার মেয়ের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের স্বণার্লংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা আমার স্ত্রী ও মেয়েকেও মারধর করে এবং তাদের শ্লীলতা হানি ঘটায়। মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমাকে জখম করে। পরে আমতলী থানা পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমতলী হাসপাতালে ১৯ দিন চিকিৎসার পর আমার শারিরীক অবস্থা উন্নীত না হওয়ায় এখান থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে একটু সুস্থ হয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারী মোয়াজ্জেম হোসেন খান, মালেক খান, জাফর খান, শফিক গাজী, সাইদুল আকন, সেলিম খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করি। কিন্তু আসামীরা প্রভাবশলী হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করছেনা তাই আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আসামীরা প্রকাশ্য ঘোরাফেরা করে।মামলা প্রত্যাহার না করলে আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত খুন, গুমসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে।
    মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও বরগুনার পুলিশ সুপার সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে নিজাম খান সংবাদ সম্মেলনে আসামীদের অতি দ্রুত গ্রেফতারের দাবী করেন।

    মামলাটি বরগুনা নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালে, পরবর্তী তারিখ থেকে স্বাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ