• শিক্ষা

    বাঙলা কলেজের ভূমি রক্ষায় অধ্যক্ষ ফেরদৌসী খান সাহসী ভূমিকা

      প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১২:৩১:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    প্রিয় অধ্যক্ষ ম্যাডাম কলেজের দায়িত্ব নেয়ার সাথে সাথেই প্রভাবশালী ভূমি দস্যুদের হাত থেকে বাঙলা কলেজের জমি রক্ষা করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেন এবং শিক্ষকগণদের নিয়ে শক্তিশালী একটি ভূমি কমিটি গঠন করেন ।ক‌লে‌জের খালের ওপারে সা‌রে ৪ একর জ‌মি,প্রায় ২০০ কো‌টি টাকার সম্প‌ত্তি রক্ষা করার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়রে সাহায়তায় সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে প্র্য়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে দিয়ে গাবতলী থেকে মাজার রোড পর্যন্ত ১৬০০রানিং ফিট সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করিয়েছেন।

    ২০২০ সালে করোনা অতিমারির সময় যখন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা মাসে মাসে ১দিন কলেজে গেছেন এবং বাসায় বসে অফিস করেছেন ,যখন সরকার জননিরাপত্তা মূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত লোক ছাডা কেউ বের হতো না , শুধু বাঙলা কলেজের জমির সীমানা চিহ্নিত করার জন্য ম্যাডাম পরিবারের কথা অমান্য করে – করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়, জমি দখলদারদের রক্তচক্ষুর ভয় দূরে সরিয়ে রেখে – প্রতিদিনই কলেজে যেতেন – আমরা অনেকে ,অফিস স্টাফরা এবং এই কাজে সহযোগিতাকারি কিছু শিক্ষকগণ এর সাক্ষী ।

    এই জমির সীমানা নির্ধারণ করার জন্য AC Land সাথে নিয়ে সরকারি সার্ভেয়ারদের দিয়ে একাধিকবার জমি সীমানা চিহ্নিত করিয়েছেন যাতে কাজটি সঠিক হয় ।জমির দাবীদাররা নানা ভাবে তাকে বিপদে ফেলতে চেষ্টা করেছে , ভয় দেখিয়েছে কিন্তু ম্যাডামকে দমাতে পরে নি , তিনি থানায় নিরাপত্তা জিডি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করনা অতিমারীর মধ্যেই সীমানা প্রাচীর চিহ্নিত করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে সমর্থ হয়েছেন ।( উল্লেখ্য যে ২০২০ সালের মধ্যে সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করতে না পারলে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা কোষাগারে ফেরত চলে যাবে । ) তখন যদি ম্যাম সাহসী উদ্যোগ না নিতেন – তা হলে জমির সীমানা প্রাচীর কখনোই নির্মাণ হতো না ।

    এতদিন ধরে কলেজের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে আমি এবং আমার মতো অনেকেই হলফ করে বলতে পারি এ জমি বাঙলা কলেজ কখনোই ভোগ করতে পারতো না ।বাঙলা ক‌লে‌জের ৬১ বছ‌রের ই‌তিহা‌সে কোন প্রশাসন যা কর‌তে পা‌রেনি ড.ফের‌দৌসী খান অধ‌্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার দেড় বছ‌রের ম‌ধ্যে ( এ কাজ ২০২০ সালে শুরু করে ২০২১ এর মাঝামাঝি শেষ করিয়েছেন ) কতখানি সাহসী , পরিশ্রমী , আত্মবিশ্বাসী ,কলেজের প্রতি ভালবাসা ও একাগ্রতা থাকলে এ কাজ করা সম্ভব ওনার অধ‌্যক্ষ জীব‌নের সা‌ড়ে তিন বছ‌রের প্রায় দু বছর গি‌য়ে‌ছে করোনা মহামা‌রি‌তে।তাও ম্যাম কাজ না করে বাসায় বসে থাকেন নি ।

    কর্ম সম‌য়ের দেড় বছ‌রে যা ক‌রে‌ছেন তা বিগত ২০ বছ‌রে হয়‌নি। আমার জানা মতে এখনও জমি নিয়ে ২/৩টি কেস চলছে । ( অন্য কলেজের অধ্যক্ষদের জমি নিয়ে এত দায়িত্ব নিতে হয় নি ) বাঙলা ক‌লে‌জের প্রায় ২৫/৩০ টির মতো উন্নয়ন মূলক ও ঐ‌তিহা‌সিক কাজ ক‌রে‌ছেন প্রফেসর ড.ফের‌দৌসী খান যা আ‌মি সঠিক ও নির্ভুল ভা‌বে জা‌নি।( উল্লেখিত সারে চার একর জমিতে কি কি করতে চান তার চাহিদা পত্র শিক্ষামন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন – ছাত্রী হোস্টেল , ছাত্রী হোস্টেল সুপারের বাসা। জিমনাসিয়াম , অডিটরিয়াম , মেয়েদের খেলার মাঠ, শিক্ষক ডরমেটরী।

    ১২ তলা ভবনের পাশে আর একটি ছাত্র হোস্টেল , বিজ্ঞান ভবনের পিছনে আধুনিক ক্যান্টিন।এবং বাসের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আশা করি সফল হবেন) বর্তমা‌নে লক্ষ‌্য কর‌ছি বাস চাই,ক‌্যা‌ন্টিন চাই,ছাত্রাবাস ছাত্রীবাস চাই না‌মে কিছু পোস্ট হ‌চ্ছে। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ ভূ‌মি উদ্ধা‌রের পর থে‌কে ‌বি‌ভিন্ন উন্নয়ন মূলক কা‌জের পাশাপা‌শি তি‌নি আপনা‌দের এই চাওয়া গু‌লো বাস্তবায়ন কর‌তে কাজ ক‌রে যা‌চ্ছেন,ওনার ইচ্ছা আগামী ৬ মা‌সের ম‌ধ্যে আপনা‌দের চাওয়া গু‌লো দৃশ‌্যমান কর‌বেন। নির্লোভ ,কর্মবীর মমতাময়ী প্রফেসর ড.ফের‌দৌসী খাঁন আল্লাহ আপন‌ার মঙ্গল করুন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ