• সারাদেশ

    বাউফলে বিয়ের দাবিতে তরুণীর অনশন

      প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৪৭:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ রিপন-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

    পটুয়াখালী জেলার বাউফলে বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন (২৫) বছরের তরুণী। শুক্রবার ( ৪ ঠা আগস্ট) সকাল থেকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে প্রেমিক তুহিন গোলদারের বসত ঘড়ের সামনে অনশনে বসেছেন ঐ তরুণী।

    খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রেমিক তুহিন ওই গ্রামের মো. ইদ্রিস গোলদারের ছেলে। অনশনে বসা তরুণী বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল গ্রামের বশার গাজীর মেয়ে তিনি। সে উপজেলার কালিশুরী নিউ লাইফ কেয়ারের স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রেমিক তুহিন পৌর শহরের ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক।এ ঘটনার পর প্রেমিক তুহিন ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।

    উক্ত ঘটনার ব্যপারে তরুণী জানায়, এক বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী -স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীর কর্মস্থলে রাত্রিযাপন করতেন দুজন। এমনকি প্রেমিক তুহিনের বাড়িতেও নিয়ে আসতেন মাঝেমধ্যে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সাথে একাধিক বার শারিরিক সম্পর্ক স্থাপণ করেছে প্রেমিক তুহিন। তুহিন ডায়াগনস্টিক ব্যবসা শুরু করতে তার কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা কৌশলে ব্যবসার কথা বলে নিয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল সন্ধ্যার তাকে (তরুণী) প্রেমিক তুহিন তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন।

    এবং মিলিত হন শারিরীক সম্পর্কে। এ বিষয়টি তুহিনের পরিবারের লোকজনের চোখে পড়লে তরুণীর সাথে খারাপ আচরন করে মুহূর্তেই চেহারা পাল্টে ফেলে তুহিন। পরিবারের সামনে মারধর করে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয় তুহিন। শুক্রবার ঐ তরুণী অনশনে আসলে পরে তুহিন ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। বাসায় তালাবদ্ধ বাড়ির সামনে বর্তমানে অবস্থান নেন ওই তরুণী। দুই মাস আগেও একবার বিয়ের দাবিতে প্রেমিক তুহিনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিল ওই তরুণী।

    এসময় আলোচনা করে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। অনশনরত তরুণী এখন বলেন, বিয়ের আশ্বাসে তাকে ভোগ করেছেন প্রেমিক তুহিন। আমার সব শেষ এখন (তুহিন) বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করবো এটাই আমার শেষ সিদ্ধান্ত বলে জানান ঐ তরুণী কান্নাজড়িত কন্ঠে।

    এ ব্যপারে অভিযুক্ত প্রেমিক তুহিন ও তার পরিবারের লোকজন বর্তমানে আত্মগোপনে থাকায় তাদের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
    এবিষয়ে বাউফল থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান দৈনিক বরিশাল সমাচারকে জানান, আমরা এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ