• আইন ও আদালত

    প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোর্টে মামলা

      প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২২ , ৩:৩৭:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    আহমাদুল্লাহ হাবিবী-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    ঝিনাইদহ শৈলকূপা উপজেলার ত্রিবেণী গ্রামে মামা বাড়িতে এসে ধর্ষনের শিকার হলেন এক প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে। মেয়েটির বাড়ি কুষ্টিয়া কুমারখালী থানার ধলনগর গ্রামে। সে শৈলকূপার ত্রিবেণী গ্রামে মামা মিরাজ শাহের বাড়িতে থেকে শান্তিডাঙ্গা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে পড়ালেখা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানাযায় গত ১৬ -৯-২০২২ ইং,তারিখ স্কুল বন্ধ থাকায়। মেয়েটি সকাল আনুমানিক ৯টায় একটি ঘরে একা বিশ্রাম করছিল।

    এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মামাতো ভাই উজ্জ্বল অসৎ উদ্দেশ্যে মেয়েটির ঘরে ঢুকে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটির ডাক চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা মামী জমিলা খাতুন ও মামাতো ভাই সম্রাট শাহ উপস্থিত হলে লম্পট উজ্জ্বল মেয়েটিকে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ধরে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে বিচার শুরু হলে মারধর করলে চরিত্রহীন উজ্জ্বল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন ও মেয়েটিকে বিবাহ করতে রাজি হয়।

    পরে উজ্জ্বলের পরিবার শালিস না মানলে মেয়েটির বাবা শরিফুল ইসলাম প্রথমে শৈলকূপা থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় নিজে বাদী হয়ে মেয়ের ধর্ষণের বিচার চেয়ে ঝিনাইদহ জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাচন দমন ২০০০ (সংশোধিত) ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
    এব্যাপারে উজ্জ্বলের বাবা শাহাজান শাহ ও মা বলেন আমার ছেলে ধর্ষণ করতে পারে না, তাকে সন্দহ করে শালিসের নামে পিট মোড়া করে বেঁধে মারধর করে জোর করে স্বীকার করাতে বাধ্য করান।

    ধর্ষিত মেয়েটির নিকট জানতে চাইলে সে বলে আমি ঘরে বিশ্রাম করছিলাম এমন সময় উজ্জ্বল এসে আমার মুখ চেপে ধরে আমার ইচ্ছার বাইরে জোর করে আমার শরীরের পাশবিক নির্যাতন করে। ধর্ষণের পরে মেয়েকে ডাক্তারী পরীক্ষা করেছেন কিনা বাবা শরিফুল শাহের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারি হাসপাতালে পরিক্ষা করেনি তাই কুষ্টিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরিক্ষা করিয়েছি। মেয়েটির বাবা ওই পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেন।মেয়েটির বাবা বলেন এই ঘটনায় ধর্ষক উজ্জ্বলের ফাঁসি চাই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ