• আইন ও আদালত

    বদলগাছীতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে এলাকাবাসীর গন স্বাক্ষর টাকা নিয়ে দিচ্ছে না জমি রেজিস্ট্রি

      প্রতিনিধি ৯ নভেম্বর ২০২২ , ৩:৫৪:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    এনামুল কবীর এনাম-জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ:

    নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের কাছে এলাকাবাসীর গন স্বাক্ষর টাকা নিয়ে দিচ্ছে জমি রেজিস্ট্রি। জানা গেছে বদলগাছী উপজেলা ৪ নং মিঠাপুর ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন নিতান্তই একজন গরীব অসহায় ভ্যান চালক পরের জমিতে জীর্ণশীর্ণ ঘরে মাথা লুকিয়ে থেকে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন রাত্রি কাটিয়ে কিছু টাকা সঞ্চয় করে নিজের বসত ঘরের লক্ষ্যে। হঠাৎ হাকিমপুর গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমান মিরের ছেলে মিঠু হোসেন, হাজিপুর মৌজার ১ ৯৪ দাগের ৩ শতাংশ জমি বিক্রয় করিতে চাহিলে, মৃত্যু আইজুদ্দিনের ছেলে সুলতানের মধ্যস্থতায় শফিকুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে প্রতিশত শতাংশ ৩৬ হাজার টাকা হিসাবে মোট এক লক্ষ ৫ হাজার টাকা মিঠু হোসেন মীর কে ৪ বছর আগে প্রদান করে অসহায় আনোয়ার। এবং মিঠু নিজেই আব্দুল মজিদ নামের একজন সার্ভিয়ার ডেকে উক্ত জমি মাপ যোগ কোরিয়া দখল হস্তান্তর করেন আনোয়ারকে। স্থানীয় গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে মাপজোক শেষে জমি ক্রয় কারি আনোয়ার উক্ত জমিতে টিনের বেড়া দাঁড়া মাথা লুকানোর মত লুকিয়ে থাকতে টিনের বেড়া দ্বারা ঘড় তৈরি করে। আনোয়ার মিঠু কে বারংবার উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে বলিলে সে কালক্ষেপণ করে থাকে। আনোয়ার বিষয়টি এলাকার সচেতন মহল সাবেক মেম্বার শফিউল ইসলাম বুলবুল ও শফিকুল ইসলাম সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিকে অবগত করিলে তিনারাও মিঠুকে উক্ত জমি রেজিস্ট্রি প্রদানের অনুরোধ জানাইলে মিঠু আজ দিব কাল দিব বলিয়া কালক্ষেপণ করিতে থাকে মর্মে গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়।
    স্থানীয় গ্রামবাসীর সু পরামর্শে আনোয়ার উক্ত জমি রেজিস্ট্রির দাবিতে মিঠু হোসেন মির ও তার স্ত্রী কে আসামি করিয়া গত ২৭/০৭/২২ ইংরেজি তারিখে মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগের সঠিক জবাব প্রদানের জন্য আসামি মিঠু কে বারংবার চেয়ারম্যান নোটিশ প্রদান করার পরে ও মিঠু গ্রাম আদালতে উপস্থিত না হইলে চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ ওবায়দুল ইসলাম আমেজ উদ্দিন সহ কয়েকজন কে মিঠুর বাড়িতে পাঠাইয়া দিলে, মিঠু রাগান্বিত হয়ে গ্রাম পুলিশ ওবায়দুল ও আমেজ কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ টানাহেঁচড়া করে থাকে । আসামি মিঠু তার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার পরিষদে উপস্থিত হয়ে ভুল স্বীকার করিলে হাকিমপুর গ্রামের সচেতন ব্যক্তি আবুল কালাম আজাদ পলাশের অনুরোধে চেয়ারম্যান পুলিশে না দিয়ে অর্ডার সিটে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন। পরবর্তী তিনটি নোটিশ পাওয়ার পরেও পরিষদে হাজির না হইলে বাদী আনোয়ারের জমি ক্রয় বাবদ এক লক্ষ, পাঁচ হাজার টাকা প্রদান ও জমি রেজিস্ট্রির দাবিতে গত ৮ নভেম্বর লিখিত গণস্বাক্ষর করে চেয়ারম্যানের হাতে প্রদান করেন হাজিপুর হাকিমপুর গ্রাম ও এলাকাবাসী। উক্ত বিষয়ে স্বাক্ষর প্রদানকারী মো সাহেব আলী মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আনোয়ার গরীব অসহায় জমি ক্রয় বাবদ এক লক্ষ ৫ হাজার টাকা দিয়েছে সঠিক। স্বাক্ষরকারী আবুল কালাম আজাদ পলাশ,শফিকুল ইসলাম সাবেক মেম্বার বুলবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনারা বলেন টাকা মিঠু গ্রহণ করেছে সত্য-সঠিক বলেই আমরা স্বাক্ষর করেছি। ইউপি সদস্য শামীম ও মহিলা মেম্বার রোকসানা বেগম বলেন লেনদেন বিষয় টি সত্য। এব্যাপারে চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন লেখক বিষয় টি আমি প্রমান পেয়েছি আনোয়ারের জমি রেজিস্ট্রির আইন গত সঠিক সিদ্ধান্ত নিব।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ