• Uncategorized

    পটুয়াখালীতে বোরো মৌসুমে কৃষিপ্রযুক্তি ব্যাবহার করে সফলতার দূয়ারে কৃষিপ্রেমী পাবেল !

      প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২১ , ২:১০:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল বলতেই কৃষিপ্রধান এই দেশ কৃষক তার প্রাণ, ফসল ফলিয়ে মাঠে রাখছে অবদান। কৃষকের শ্রম আর মোদের গবেষণা, এই দুয়ে মিলে দেখি মোরা মাঠ ভরা সোনা।হ্যা, সত্যি’ই তাই নিজের জমিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বোরো মৌসুমে ইরি ধানের বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের মাঝগ্রামের মোঃ কালাম মিয়ার কৃতি সন্তান ও তরুণ শিক্ষিত যুবক মোঃ খায়রুল হাসান পাবেল।

    সরজমিন ঘুড়ে দেখাযায়, তিনি তার শিক্ষার পাশাপাশি বাড়ির পাশেই বোরো মৌসুমে ইরি ২৮ ধানের পরিচর্যা করছেন। কথা হলো তার সাথে,এসময় তিনি জানান, নিজের পরিশ্রমের সোনা ফলনে দৃশ্যপট আমার জন্য খুবিই আনন্দঘন মূহুর্ত। কেননা উত্তর রংপুর অঞ্চলে দেখেছি, সেখানে পর্যাপ্ত পানি সংকট থাকার পরেও, কৃষকরা জমিতে সেচ দিয়ে তৃমূখি কৃষি আবাদী করে বাম্পার ফলন করে নিজের এবং দেশের শস্যকণা সমৃদ্ধি করে স্বাবলম্বী হয়ে মাথা উঁচু করে সন্মান কুরিয়েছেন অনেক কৃষক।

    এছাড়া আমাদের এ দক্ষিণ অঞ্চলে পানি এবং জমির তেমন কোন সংকট নেই। তাই ভেবে চিন্তে পরিকল্পনা করেছি কি করে আমরা তৃমূখি ধানের আবাদী করতে পারি ? শুরু হলো আমার আত্মপ্রচেষ্টা। আমার বাবা যেহেতু একজন সফল কৃষক, তার সহযোগীতায় (২) একর দুই শতাংশ জমিতে পানির ব্যাবস্থায় ব্লক তৈরী করে কৃষিপ্রযুক্তির হাইব্রীট ইরি ২৮ জাতীয় বীজ রোপণ করি। এবং আল্লাহ্’র রহমতে সুফল এবং অধিক বাম্পার ফলন হওয়াতে নিজেকে ধন্য মনে করছি। শুধু তা’ই নয়, আমার এ কৃষিপ্রযুক্তি দেখে অনেক যুবসম্প্রদায় এগিয়ে এসেছেন ইতিমধ্যে।

    তরুন শিক্ষিত যুবক পাবেল এর সফলতার বিষয়ে চিকনিকান্দীর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বিষয়টি জেনে তিনি বলেন, আমাদের কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে আমার ইউনিয়নের তরুন যুব-সমাজ কৃষিপ্রযুক্তি ব্যাবহার করে তাদের এ সফলতাকে আমি স্বাধূ্বাদ জানাচ্ছি। কেননা, লেখা পড়া করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ মানেই চাকুরী, এ কথাটির সাথে আমি একমত নই। তার প্রমাণ আপনারাই দেখছেন। আমি মনে করি একজন শিক্ষত নাগরীক তার শিক্ষার গুণগত মানটুকু সঠিক সময়ে সঠিকভাবে কাজে ব্যাবহার করলেই তার সফলতা সুনিশ্চিত।

    এছাড়া আমি বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি অনেক তরুণ উদ্যোক্তা নিজেদের প্রচেষ্টায় সোনার বাংলায় সোনা ফলিয়ে তারা স্বাবলম্বী হওয়ায় আমি নিজেও গর্বিত।এবিষয়ে গলাচিপা উপজেলা কৃষি ককর্মকর্তা এ, আর, এম সাঈফুল্লাহ জানান, আমি অত্যান্ত আনন্দিত এ কারনে, যে শিক্ষত যুবসম্প্রদায় আজ তারা পরনির্ভর নয়। শিক্ষার গুনগত মানটুকু সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় কাজে ব্যাবহার করে তাদের নিজেদের আত্মনির্ভর স্বাবলম্বী হয়ে বোরো মৌসুমে কৃষিপ্রযুক্তি ব্যাবহার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এছাড়া কৃষি উর্বরতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবসমই নানা রকমের প্রণদনা দেয়া সহ সহযোগীতা অব্যাহত রয়েছেন বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ