• Uncategorized

    শবে_বরাত_গ্রহণযোগ্য_হাদীস_দ্বারা_প্রমাণিতঃ

      প্রতিনিধি ৭ মার্চ ২০২৩ , ১০:০৩:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    ——————————-
    আলোকিত ইসলাম ডেস্ক:
    মুফতী আহমাদুল্লাহ হাবিবী

    ☞ ১ নং হাদীসঃ
    عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ فَيَقُولُ مَنْ يَدْعُونِى فَأَسْتَجِيبَ لَهُ وَمَنْ يَسْأَلُنِى فَأُعْطِيَهُ وَمَنْ يَسْتَغْفِرُنِى فَأَغْفِرَ لَهُ.
    হযরত আবূ হুরাইরা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, হযরত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের বরকতময় মহান প্রতিপালক প্রত্যহ রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশে নীচের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেনঃ কে আমাকে ডাকে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব! কে আমার নিকট প্রার্থনা করে? আমি তাকে দান করব! এবং কে আমার নিকট ক্ষমা চায়? আমি তাকে ক্ষমা করব! (ফজর পর্যন্ত এ আহবান চলতে থাকে।) সনদ সহীহ৷
    (সহীহুল বুখারী ১১৪৫, ৬৩২১, ৭৪৯৪ হাদীস৷ সহীহু মুসলিম ১৮০৮-১৮১৩, হাদীস৷ মিশকাত শরীফ ১২২৩ হাদীস৷)
    কিন্তু শবে বরাতের রজনীতে আল্লাহ তায়ালা সূর্যাস্তের সাথে সাথেই দুনিয়ার আকাসে চলে আসেন৷ যেমন নিম্নে বর্নিত হাদীসঃ

    ☞ ২ নং হাদীসঃ
    ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ ﺑْﻦُ ﻋَﻠِﯽٍّ ﺍﻟْﺨَﻠَّﺎﻝُ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﺮَّﺯَّﺍﻕِ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻧْﺒَﺄَﻧَﺎ ﺍﺑْﻦُ ﺃَﺑِﯽ ﺳَﺒْﺮَۃَ، ﻋَﻦْ ﺇِﺑْﺮَﺍﮨِﯿﻢَ ﺑْﻦِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ، ﻋَﻦْ ﻣُﻌَﺎﻭِﯾَۃَ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﮧِ ﺑْﻦِ ﺟَﻌْﻔَﺮٍ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﯿﮧِ، ﻋَﻦْ ﻋَﻠِﯽِّ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﯽ ﻃَﺎﻟِﺐٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﮧِ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﷲُ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ” ﺇِﺫَﺍ ﮐَﺎﻧَﺖْ ﻟَﯿْﻠَۃُ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ، ﻓَﻘُﻮﻣُﻮﺍ ﻟَﯿْﻠَﮩَﺎ ﻭَﺻُﻮﻣُﻮﺍ ﻧَﮩَﺎﺭَﮨَﺎ، ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﮧَ ﯾَﻨْﺰِﻝُ ﻓِﯿﮩَﺎ ﻟِﻐُﺮُﻭﺏِ ﺍﻟﺸَّﻤْﺲِ ﺇِﻟَﯽﺳَﻤَﺎﺀ ِ ﺍﻟﺪُّﻧْﯿَﺎ، ﻓَﯿَﻘُﻮﻝُ : ﺃَﻟَﺎ ﻣِﻦْ ﻣُﺴْﺘَﻐْﻔِﺮٍ ﻟِﯽ ﻓَﺄَﻏْﻔِﺮَ ﻟَﮧُ ﺃَﻟَﺎﻣُﺴْﺘَﺮْﺯِﻕٌ ﻓَﺄَﺭْﺯُﻗَﮧُ ﺃَﻟَﺎ ﻣُﺒْﺘَﻠًﯽ ﻓَﺄُﻋَﺎﻓِﯿَﮧُ ﺃَﻟَﺎ ﮐَﺬَﺍ ﺃَﻟَﺎ ﮐَﺬَﺍ، ﺣَﺘَّﯽﯾَﻄْﻠُﻊَ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮُ.
    হযরত আলী রাযিঃ সূত্রে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ
    সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা মধ্য শা’বানের রজনীতে জাগ্রত থাকো এবং তারপর দিন রোযা রাখো! কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের সময় আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেতে থাকেন, আছো কি কেউ ক্ষমা প্রার্থনাকারী? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব!
    আছো কি কেউ রিযিক যাচনাকারী? আমি তাকে রিযিক প্রদান করব! আছো কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি তাকে বিপদ থেকে মুক্তিদান করব! এরূপ কেউ আছো কি? এরূপ কেউ আছে কি?এভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত আহ্বান করতে থাকেন। উপরে বর্নিত হাদীস অনুপাতে এই হাদীসের বিষয় বস্তুও সহীহ৷
    (সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৮৮ হাদীস৷ শু’আবুল ঈমান-৩৫৪২ হাদীস৷ মিশকাতুল মাসাবীহ ১৩০৮ হাদীস৷ কানযুল উম্মাল ৩৫১৭৭ হাদীস৷)

    ☞ ৩ নং হাদীসঃ
    عَنْ أَبِي بَكْرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ يَنْزِلُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا فَيَغْفِرُ لِعِبَادِهِ إِلَّا مَا كَانَ مِنْ مُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ لِأَخِيهِ
    হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযিঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- হযরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যখন পনেরই শাবানের রাত হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে তশরীফ আনেন এবং সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন! শুধু মুশরিক ও অপর ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত। সনদ সহীহ৷
    (মুসনাদে আবু বকর সিদ্দীক রাযিঃ ১০৪ হাদীস৷ মুসনাদে বাযযার ৮০ হাদীস৷ মাজমাউজ যাওয়ায়িদ ১২৯৫৭ হাদীস৷)

    ☞ ৪ নং হাদীসঃ
    حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ أَبُو بَكْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فَقَدْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَخَرَجْتُ أَطْلُبُهُ فَإِذَا هُوَ بِالْبَقِيعِ رَافِعٌ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ ‏”‏ يَا عَائِشَةُ أَكُنْتِ تَخَافِينَ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ قَدْ قُلْتُ وَمَا بِي ذَلِكَ وَلَكِنِّي ظَنَنْتُ أَنَّكَ أَتَيْتَ بَعْضَ نِسَائِكَ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَنْزِلُ لَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَغْفِرُ لأَكْثَرَ مِنْ عَدَدِ شَعَرِ غَنَمِ كَلْبٍ ‏”‏ ‏.‏
    আম্মাজান হযরত আয়িশা সিদ্দীকা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (বিছানায়) না পেয়ে তাঁর খোঁজে বের হলাম। আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি জান্নাতুল বাকিতে, তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুলে (মুনাজাতে রত) আছেন। অতপর তিনি বলেনঃ হে আয়িশা! তুমি কি আশঙ্কা করেছো যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার প্রতি অবিচার করবেন? আমি বললাম, তা নয়! বরং আমি আশঙ্কা করলাম যে, আপনি হয়তো আপনার কোন স্ত্রীর নিকট তাশরিফ নিয়ে গেছেন। তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আজ মধ্য শাবানের রজনী৷ এ রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করেন এবং কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চাইতেও অধিক সংখ্যক লোকের গুনাহ মাফ করেন। সনদ হাসান৷
    (সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৮৯ হাদীস৷ সহীহু মুসলিম ৯৭৩-৭৪ হাদীস৷ সুনানে তিরমিযী ৭৩৯ হাদীস৷ সুনানে নাসায়ী ২০৩৭ হাদীস৷ মুসনাদে আহমাদ ২৫৪৮৭ হাদীস৷)

    ☞ ৫ নং হাদীসঃ
    عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ اللَّيْلِ يُصَلِّي فَأَطَالَ السُّجُودَ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ قَدْ قُبِضَ، فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ قُمْتُ حَتَّى حَرَّكْتُ إِبْهَامَهُ فَتَحَرَّكَ، فَرَجَعْتُ، فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ، وَفَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ، قَالَ: ” يَا عَائِشَةُ أَوْ يَا حُمَيْرَاءُ ظَنَنْتِ أَنَّ النَّبِيَّ خَاسَ بِكِ؟ “، قُلْتُ: لَا وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ وَلَك

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ