প্রতিনিধি ১২ আগস্ট ২০২০ , ১১:৩৫:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
শরিফা বেগম শিউলী-রংপুর:
রংপুর মহানগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের বিনোদপুর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে গৃহবধূ মোছাঃ হালিমা খাতুন (৩৫) কে মারপিট করেন পাশের বাসার লোকজন।
গত (১০জুলাই,২০২০) সোমবার আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে বাবার বাসা থেকে শ্বশুর বাসায় ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মোছাঃ হালিমা খাতুনের স্বামী ঢাকায় চাকুরী করেন। ঈদ করার জন্য হালিমা খাতুন গ্রামের বাসায় আসেন। হালিমা খাতুনের বাবার বাসা আর শশুর বাসা একই এলাকায়। কিন্তু, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পথ রোধ করে মারপিট করেন একই এলাকার মোঃ আব্দুল লতিফ মিয়া (৪৫) পিতা-মোঃ মোসলেম উদ্দিন, সাং- বিনোদপুর, মোঃ সিদ্দিক মিয়া (৪০) পিতা- মৃতঃ আজিজার রহমান, সাং- মিলন পাড়া (ওয়ার্ড নং ৩২), মোছাঃ মজিদা বেগম (৬৫) স্বামী- মোঃ আজিম উদ্দিন, মোছাঃ শারমিন বেগম (২৫) পিতা- মৃতঃ সান্না মিয়া, মোছাঃ পিয়ারী বেগম (৪০) স্বামী- মোঃ আব্দুল লতিফ, মোছাঃ আছিয়া বেগম (৩৫) স্বামী- মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোছাঃ আমেনা বেগম (৩৭) স্বামী- মোঃ সিদ্দিক মিয়া উভয় সং- বিনোদপুর, ওয়ার্ড নং- ১৫,থানা- তাজহাট, জেলা- রংপুর।
হালিমার বাবা হাবিবুর রহমান জানান, আমার মেয়ে আমার বাড়ি থেকে তার স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে আসামীগণ তার পথ আটকায়ে বিভিন্ন ধরনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমার মেয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করে। আপনারা আমাকে গালিগালাজ করতেছেন কেন জানতে চাইলেই। তখনই শুরু হয় এলোপাথাড়ি লাঠি, রড, ধারালো অস্ত্র, ও খুর দিয়ে মারপিট শুরু করে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থল থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আমি বাদী হয়ে রংপুর মেট্রো তাজহাট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে তাজহাট থানার এসআই মোঃ আল-আমিন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামি কে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় হালিমা বেগম কে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। হালিমার বাবা বাদী হয়ে তাজহাট থানায় একটি এজাহার দিয়েছে মামলাটি রুজু হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।