• Uncategorized

    পটুয়াখালীর দুমকি উপঃ আ’লীগ নেতা আবুল কালামের বিরুদ্ধে,জমি জবরদখলের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ , ২:১৬:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার জলিশা গ্রামে বিরোধপূর্ণ কোটি টাকামূল্যের সম্পত্তি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে আ’লীগ নেতা দুমকী বাজারের সভাপতি, ও পীরতলা ভবন পাঁচতলা ভবনের মালিক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে প্রভাবশালী একটি চক্র। ক্ষমতার দাপট আর পুলিশের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় অসহায় পরিবারকে তাদের সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করতে প্রকাশ্য দিবালোকে সীমানা বেড়া ভাংচুর ও অস্থায়ী টংঘর বসিয়ে দখলের চেষ্টা চালায় এই আওয়ামী লীগের নেতা আবুল কালাম।

    এসময় অবৈধ দখলদার প্রতিরোধে আইনী সহায়তা চাইলে পুলিশ কোনরুপ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।গত১২.১২.২৩ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন অসহায় জাকিয়া-সোবাহান দম্পতি। উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ অবশ্য জোড়দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে ক্রয়কৃত নিজ সম্পত্তি বুঝে নেয়ার দাবি করেছেন।

    গত (১২ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দুমকী উপজেলার প্রেসক্লাবে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার জলিশার বাসিন্দা সোবাহান চৌকিদারের স্ত্রী মোসা: জাকিয়া বেগম লিখিত বক্তব্যে জানায়, উপজেলার শ্রীরামপুর মৌজার এস.এ ৩৩৫ নং খতিয়ানের ২০০৮ নং দাগের রেকর্ডিও মালিক আবেজান বিবির ওয়ারিশ ও সাব কবলা মূলে ৯০শতাংশ সম্পত্তির মালিক হিসেবে বিগত ১২বছর যাবত ভোগ দখলে আছেন। লেবুখালী-চরগরবদি আরএন্ডএইচ মহাসড়ক ও থানা সড়কের পাশে ওই প্লটটির অবস্থান হওয়ায় প্রভাবশালী আ’লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের লোলুপ দৃষ্টিতে পড়ে। প্রতিপক্ষ ওয়ারিশ শাহআলমের কাছ থেকে ৯শতাংশের একটি কবলা দলিল সৃষ্টি করে তাকে (জাকিয়া বেগমকে জমি থেকো বেদখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এই আঃলীগ নেতা।

    এর অংশ হিসেবে পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে দায়ের করা ১৭০/১৪ দেওয়ানী মকর্দ্দমা বাদির দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে খারিজ এবং নামজারী কেসের রিভিউ খারিজ হয়। এসংক্রান্তে উচ্চ আদালতে পর পর দু’টি রায়ে পরাজিত হয়ে ক্ষমতাসীন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব ও শক্তির মহড়ায় ভুক্তভোগী (জাকিয়া বেগম)কে উচ্ছেদ ও অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। জাকিয়া বেগম আরও অভিযোগ করেন, অবৈধ দখল প্রতিরোধে আইনী সহায়তা চাইলেও থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গত ৩০ নভেম্বর পটুয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ করে আইনী সহায়তা চান

    জমির প্রকৃত মালিক জাকিয়া বেগম।

    পুলিশ সুপার দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থার নিদের্শ দিলেও থানা পুলিশ রহস্যজনক আচরণ করছে। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে অবৈধ দখলদারদের পক্ষ নিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী জাকিয়ার।

    অভিযোগের বিষয়ে দুমকি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ দৈনিক বরিশাল সমাচারকে বলেন, জাকিয়া প্রকৃতপক্ষে ওই সম্পত্তির কোন ওয়ারিশই নহে। প্রকৃত ওয়ারিশ মাওলানা শাহআলমের কাছ থেকে উক্ত দাগ ও খতিয়ানের জমি নগদ টাকায় কিনেছি আমি । আমার কেনা সম্পত্তির দখল বুঝে নেয়ার আইনগত অধিকার আমার রয়েছে এবং দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আমার আছে।

    দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মো: আবদুল হান্নান বলেন, এখানে পুলিশের পক্ষপাতিত্বের কিছু নেই। আকস্মিক টিনের বেড়া অপসারনের অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে উভয় পক্ষকে বিরোধীয় জমিতে কোন স্থাপনা না করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দু’পক্ষকে আদালতের স্মরণাপন্নের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর আগে যারা-ই আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে চাইবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ