• চট্টগ্রাম বিভাগ

    ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ইজারা প্রক্রিয়া,টেন্ডার হলেও ওয়ার্ক অর্ডার এখনো ইজারাদারের হাতে আসেনি

      প্রতিনিধি ২ জুন ২০২২ , ৯:৩২:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি:

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাগরিকা গরুর বাজার ইজারা প্রক্রিয়া নিয়ে ধীরগতিতে প্রতিদিন লোকসান দিতে হবে দুই লাখ টাকারও বেশি। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রাখায় সিটি কর্পোরেশন প্রতিদিনই এই লোকসান গুণছে। বিশেষ করে বাজারের ভর মৌসুম কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসলেও বাজারটির ইজারা প্রক্রিয়া ঝুলে থাকাকে রহস্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ‘সময়েরএখ অভাবে’ টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিলম্ব হচ্ছে বলে দাবি করেছেন।সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাগরিকাস্থ গরু–ছাগলের বাজার সচরাচর বৈশাখের প্রথম তারিখ থেকে ইজারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এবার যথাসময়ে টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, এবার ইজারা প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রাখা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের ৪২ দিন পর গত ১০ মে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩২৩ দিনের জন্য আহুত এ টেন্ডার প্রক্রিয়া গত ২৫ মে সম্পন্ন করা হয়। এতে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে আবদুল সাত্তার ৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, মনসুর আলম ৬ কোটি টাকা, এস এ কর্পোরেশন ৭ কোটি ১১ লাখ টাকা, এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম ৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং মোহাম্মদ ফজলে আলম চৌধুরী আরমান ৮ কোটি ১১ লাখ ৭৮৬ টাকা দরপত্রে উল্লেখ করেন। টেন্ডারমূল্যের সাথে ভ্যাট এবং ট্যাক্স মিলে সর্বোচ্চ দরদাতাকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা প্রদান করতে হবে। নিয়মানুযায়ী ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা জামানত প্রদান করা হয়েছে। বাকি টাকা টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়ার সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু গত ২৫ মে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও গতকাল পর্যন্ত উক্ত সর্বোচ্চ দরদাতাকে ওয়ার্ক অর্ডারই দেয়া হয়নি। অথচ এ ওয়ার্ক অর্ডার না দেয়া পর্যন্ত প্রতিদিনের জন্য টেন্ডারে উল্লিখিত দর থেকে ইজারাদারকে ২ লাখ ৫১ হাজার টাকা করে ফেরত দিতে হবে কর্পোরেশনকে। বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সাগরিকা গরু বাজারের হাসিল সংগ্রহ করছে। এতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাসিল ওঠে। অথচ ইজারাদারকে ওয়ার্ক অর্ডার দিলেই কর্পোরেশন প্রতিদিনের জন্য পেতো ২ লাখ ৫১ হাজার টাকা। কিন্তু কর্পোরেশন শুধুমাত্র ওয়ার্ক অর্ডার না দেয়ায় ( বর্তমানে আদায় হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা) উল্টো দুই লাখ টাকারও বেশি ইজারাদারকে ফেরত দিতে হবে। এতে কর্পোরেশন ক্ষতির মুখে পড়লেও ব্যক্তিবিশেষ লাভবান হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে সর্বোচ্চ দরদাতা এবং সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন কর্মকর্তার একটি সিন্ডিকেটের বিশেষ ছকেই এ বিলম্বের ঘটনা ঘটছে।তবে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে টেন্ডার পাওয়া মোহাম্মদ ফজলে আলম চৌধুরী আরমান বলেন, ‘আমি টেন্ডার পেয়েছি। কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডার পাইনি। কেন দিচ্ছে না তা জানি না। একটি মিটিং করা সম্ভব হয়নি বলে আমাকে নাকি ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া যাচ্ছে না। দু’চারদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহকারী এস্টেট অফিসার মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন বলেন, ‘প্রতিটি টেন্ডার অনুমোদনের জন্য একটি মিটিং করতে হয়। রেজুলেশন লিখতে হয়। এর জন্য একটু ‘সময়’ লাগছে।’ তবে খুব দ্রুত ওয়ার্ক অর্ডার দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ