• আইন ও আদালত

    ধামইরাটে অসহায় পরিবারকে গাছে বেঁধে রেখে অমানবিক নির্যাতন

      প্রতিনিধি ১১ জুন ২০২৩ , ১১:০৬:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মাহাবুব আলম-ন‌ওগাঁ প্রতিনিধি:

    নওগাঁ ধামিরহাটে চক চন্ডী ক‌ই গ্ৰামে সমির উদ্দিনের দুই মেয়েকে গাছে বেঁধে রেখে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় সমির উদ্দিনের খেরের পালায় দাও দাও করে জ্বলে ওঠে আগুন ও বাড়ির সামনে চুলা ভেঙ্গে দিয়ে হই হই করে ওঠে প্রতিপক্ষগন। সমীর উদ্দিনের স্ত্রী হালিমা বেগম জানান তাদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে একটি ক্যাচাল গন্ডগোল রয়েছে। আমার বাড়ির সামনে আমাকে টিউবল পর্যন্ত বসাতে দেয় নাই তারা জিয়া, কাজেম ,জামাল ,জালাল, মাহাবুব ,তালহা ,রিনা ,শাপলা, মনোয়ার ,রহিমা ,জিন্না ,মেরিনা ,তানজিলা, বিকাল তিনটার সময় আমার খরের পালায় আগুন লাগে দেই তারা পরে আমি ও আমার দুই মেয়ে দেখতে পাই সঙ্গে সঙ্গে আমরা আগুন নিভাতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করি তারা এসে এলোপাতাড়ি ভাবে আমার ছোট্ট দুই মেয়েকে মারধর শুরু করেন এবং আমার দুই মেয়েকে গাছে বেঁধে রাখে আমার আশেপাশে যারা আছেন এলাকাবাসী সবাই আসে।

    জিয়া ও শাপলা আমার মেয়েকে মারধর করতেই থাকে । বাদী হালিমা খাতুন বাদে হালিমা বেগম আরো জানান ওরা আমার মেয়েকে হাত-পা বেঁধে আগুনের উপর ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। একটু পরে ধামইরহাট থেকে চারজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার ওসি মোজাম্মেল হক কাজীকে তাৎক্ষণিক তারা ফোন দিয়ে বিষয়টি বলেন ওসির নির্দেশে আমার মেয়েকে তারা ছেড়ে দেয় বলে জানান তিনি।
    এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ জিয়া বলেন তাদের সঙ্গে আমার জমির নিয়ে অনেকদিন থেকে ক্যাচাল বিষয়টা আদালতে একটি মামলা করেছি আমি মামলার রায় এখনো হয় নাই মামলা চলমান তারা আগুন লেগে দিয়েছে এবং এজন্য আমি ধরেছি বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে ধাম‌ইরহাট অফিসার ইনচার্জ ওসি মোজাম্মেল হক কাজী সাথে মুঠ ফোনে কথা হলে তিনি জানান হালিমা খাতুন নামে অভিযোগ দিয়েছেন ,আমরা অভিযোগ নিয়েছি ও মামলা রুজু করা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ