• চট্টগ্রাম বিভাগ

    দেবীদ্বারে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী পুরুষ সহ ৩০ জন আহত

      প্রতিনিধি ১৮ নভেম্বর ২০২২ , ১:৫২:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টার:

    কুমিল্লার দেবীদ্বারে পাগলা কুকুরের কামড়ে সাবেক ইউপি সদস্য, শিশু-বৃদ্ধ, নারীসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ধলাহাস ও মরিচাকান্দা গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩০ জন কুকুরের কামড়ের শিকার হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আক্রান্ত মোট ৩০ জনের মধ্যে অধিকাংশই শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও শ্রমজীবী। এছাড়া সামাজিক দায়িত্ব পালনকালে সাবেক ইউপি মেম্বার কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন।

    এদিকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ আহত ৩০ জনকে চিকিৎসায় র‌্যাবিক্স-ভিসি দেওয়া হলেও মূল ভ্যাকসিন র‌্যাবিক্স আইজি সরবরাহ না থাকায় ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
    জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে ভ্যাকসিন র‌্যাবিক্স আইজি সরবরাহ না থাকায় আক্রান্তরা স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওষুধের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
    আহতরা জানান, হঠাৎ পেছন থেকে কুকুর এসে পায়ে কামড়ে দিচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ লোকেরা কামড়ের পর নিজেকে সামলে নিতে চেষ্টা করলেও শিশু ও নারীরা আক্রান্ত হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।

    আক্রান্তরা অধিকাংশই ধলাহাস, মরিচাকান্দাসহ বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দা।এ ব্যাপারে দেবীদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও মো. নাজমুল হাসান বলেন, হাসপাতালে র‌্যাবিক্স-ভিসি ভ্যাকসিন সরবরাহ থাকলেও জলাতঙ্ক প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আইজি ভ্যাকসিনের সংকট থাকায় আহতদের বাইরের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অনেক রোগী বাইরের দোকানে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় ইনসেপ্টা ফার্মার বিক্রয় প্রতিনিধিকে আমরাও ফোন করে দেবীদ্বারে জরুরি ভিত্তিতে আইজি ভ্যাক্সিন সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।

    কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মীর মো. মোবারক হোসেন জানান, বিষয়টি শুনে আমি হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনি জানিয়েছেন র‌্যাবিক্স-ভিসি সরবরহ স্বাভাবিক রয়েছে, তবে র‌্যাবিক্স আইজি ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় দ্রুত সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলাতঙ্ক প্রতিরোধে দুটি ভ্যাকসিনই প্রয়োজন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ