• চট্টগ্রাম বিভাগ

    দেবীদ্বারে ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারের উদ্যোগে অটিজম বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

      প্রতিনিধি ১৩ মে ২০২৩ , ৫:৫৮:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:

    এসভায় মো লুৎফুর রহমান বাবুলের সঞ্চালনায় শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন আহবায়ক রাশেদা আক্তারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল ১১টায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অটিজম কোনো অক্ষমতা নয় ভিন্নরকম সক্ষমতা আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডাক্তার শাহরিয়ার ফারুক,বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সারা বাংলাদেশের আলোড়নকৃত ডযার উপাধি এখন মানবতার ফেরিওয়ালা নামে পরিচিতি লাভ করেন,বিশেষ ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার,বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার শাহ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী এম বি বি এস, সি সি ডি, ডি এম, ইউ ডায়াবেটিস ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি বিশেষজ্ঞ,দেবীদ্বার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী ইমাম,দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, দেবীদ্বার উপজেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহিনুর আক্তার লিপি,দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো মনিরুল ইসলাম, সহ আরো শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    অটিজমে আক্রান্ত শিশুর ডিএনএ কপি নম্বর ভ্যারিয়েন্ট নামক ত্রুটি বহন করে। পরিবেশের বিষাক্ত উপকরণ জিনের ওপর কাজ করে স্নায়ুকোষ ধ্বংস করে। এই বিষাক্ত উপাদান গর্ভের শিশু ও শিশুর বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ের মস্তিষ্কের কোষকে ধ্বংস করে। যেসব রাসায়নিক দ্রব্য অটিজমের জন্য দায়ী বলে ধারণা করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মার্কারি, লেড, পোকা-মাকড় মারার বিষ, খাদ্য সংরক্ষণ করার রাসায়নিক দ্রব্য, খাদ্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কৃত্রিম রং ইত্যাদি। কখনো কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মস্তিষ্কের কিছু অসুবিধা লক্ষ করা যায়। যেমন: মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক ক্রিয়া, নিউরোকেমিক্যালের অসামঞ্জস্যতা, শিশুর জন্মপূর্ব বা জন্মপরবর্তীকালের কোনোরূপ সংক্রমণ, মস্তিষ্কের গঠনগত ত্রুটি ইত্যাদি।

    গবেষণায় দেখা গেছে যে শৈশবে ব্যবস্থা নেওয়া গেলে অটিজম নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশু প্রাপ্তবয়সে অনেকটাই স্বাভাবিক হতে পারে। শৈশবে ব্যবস্থা নেওয়া বলতে বোঝায় জন্মের ১৮ মাস থেকে ৩৬ মাস বয়সের মধ্যে অটিজম শনাক্তকরণ ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিক্ষা পরিকল্পনার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শিশুকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া। এ ধরনের শিশুর প্রধান চিকিৎসা স্পিচ থেরাপি, নিওরোবিহেভিওরাল থেরাপি। অতিরিক্ত আচরণগত সমস্যা, ঘুমের সমস্যা ও শারীরিক সমস্যার জন্য মেডিকেল চিকিৎসা এবং বিশেষ স্কুলে শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ