• দুর্ঘটনা

    তানোরে ফড়িয়া আলুচাষির দেয়া আগুনে পাকা ধানক্ষেত পুড়ে ছাই

      প্রতিনিধি ৩০ নভেম্বর ২০২১ , ৩:৪৮:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরে বহিরাগত ফড়িয়া আলুচাষির দেয়া আগুনে প্রায় সাড়ে তিন বিঘা পাকা ধানখেত পুড়ে ছাই হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য ফড়িয়া দু’আলুচাষি গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি করেছে।
    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিন মোল্লার পুত্র জিয়াউর রহমান রতন ও কফিল উদ্দিনের পুত্র নবাব ফড়িয়া আলুচাষি।

    চলতি মৌসুমে তানোরের কামারগাঁ ইউপির ছাঐড় ডাবরা মাঠে গভীর নলকুপ অপারেটরের মাধ্যমে আলু ও বোরোসহ প্রতি বিঘা জমি ১২ হাজার টাকা হিসেবে প্রায় ৯০ বিঘা জমি ইজারা নিয়েছেন রতন ও নবাব। ছাঐড় গ্রামের মৃত শুকুর আলীর এক বিঘা ২ কাঠা জমি ইজারা নিয়ে আমণ ধান চাষ করেছে কাবুল ইসলাম। এদিকে একই জমি আলুসহ বোরো চাষের জন্য ইজারা নিয়েছে ফড়িয়া আলুচাষি রতন ও নবাব। কিন্ত্ত কাবুলের ধান কাটতে দেরী হওয়ায় তার ওপর ক্ষুব্ধ হয় আলুচাষি রতন ও নবাব।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সুত্র জানায়, গত ২৮ নভেম্বর থেকে জমি চাষ শুরু করেছে রতন ও নবাব তবে কাবুলসহ কয়েকজন কৃষকের জমির পাকা ধান এখানো কাটা শুরু করেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে আলুচাষি রতন বর্গাচাষি কাবুলের জমির পাকা ধানখেতে আগুন দেয়। এদিকে মাঠের অন্য কৃষকের ঘটনা বুঝতে পেরে রতনকে ধাওয়া করে রতন প্রায় দ্বিগম্বর হয়ে ভৌঁ-দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র নিশ্চিত করেছে। স্থানীয়রা জানান, খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা এসে ক্ষতিপুরুণ দাবি করে আলু প্রজেক্টের হাল চাষ বন্ধ করে দেয়।

    এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালী ডাবলু নিরহ কৃষকদের আইনের আশ্রয় না নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দেবার চেষ্টা করে। বর্গচাষি কাবুল বলেন, তিনি ৯ হাজার টাকায় আমণ চাষের জন্য একবিঘা ২ কাঠা জমি বর্গা নিয়ে আমণ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, তার জমিতে প্রায় ২৫ থেকে ২৮ মণ ধান ও দেড় কাউন খড় হবে। তবে আলু চাষির আগুনে তার স্বপ্ন পুড়ে গেছে। এখন তিনি পরিবার ও তিনটি গবাদি পশুকে কি খাওয়াবেন সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে উঠেছেন।তিনি বলেন, তাকে বিঘা প্রতি ২৫ হাজার ৫শ’ টাকা ক্ষতিপুরণের আশ্বাষ দিয়ে মামলা করতে দেয়নি, এখন সেই টাকা দিতে অস্বীকার করছে।

    কৃষক টোটন ও আজিজ বলেন, সোনার বাংলা ও আতপ ধান পুড়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে আলুচাষি জিয়াউর রহমান রতন ও নবাব এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, লাড়া পুড়াতে গিয়ে কিছু কৃষকের জমির সামান্য পাকা ধানখেত পুড়েছে, আমরা তাদের ক্ষতিপুরুণের আশ্বাস দিয়েছি। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইন্চার্জ ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, তিনি কোনো অভিযোগ পাননি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ