• আইন ও আদালত

    তানোরে অনিয়ম দূর্নীতির আতুর ঘরে পরিনত মুন্ডুমালা তহসিল অফিস

      প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২২ , ৫:৩০:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন বেপরোয়া হয়ে উঠছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা তহসিল অফিসের তহসিলদার রবিউল ইসলাম বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা ছাড়া কোন কাজে হাত পড়েনা। টাকা দিলেও সব হয়ে যায়। এদিকে সরকার জালানি সংকট ও বিদুৎ ঘাটতি মিটাতে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত সরকারী বে সরকারী অফিস চলবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। কিন্তু তহসিলদার রবিউল প্রজ্ঞাপন তো মানেন না, রাতেও করেন অফিস। একজন তহসিলদার এত ক্ষমতা পায় কোথা থেকে যে তার ইচ্ছায় চলছে অফিসের কার্যক্রম। শুধু এখানেই শেষ খাস পুকুর কিছু চাঁদাবাজ মিডিয়া কর্মীর সহযোগিতায় সমঝোতায় দেওয়া হচ্ছে নিলাম।

    আবার সেটাকেই প্রকাশ্যে নিলাম বলে কাগজে কলমে চালিয়ে যাচ্ছেন রবিউল। এতে করে অনিয়ম দূর্নীতি ও দালালদের আতুরঘরে পরিনত হয়ে পড়েছে তহসিল অফিসটি। ফলে তার এমন বেপরোয়া দূর্নীতির জন্য চরম ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাকে দ্রুত বদলিসহ সম্পদের বিষয়ে জোরালো তদন্তের দাবি ভুক্তভোগীদের।জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মুন্ডুমালার বাসিন্দা শরিফ খান কে সম্প্রতি তহসিল অফিসে দেখে জানতে চাওয়া কি কাজের জন্য তিনি আমার সাথে যে আদিবাসি আছেন, তার রেকর্ডীয় জমির চেক টাকার বিনিময়ে একজন কেটে দেন। এটা কিভাবে হল জানার জন্য তহসিলদার রবিউলের কাছে এসেছি, কিন্তু সে দেখব দেখব করে ঘুরাচ্ছেন।

    টাকা ও দালাল ছাড়া কোন কাজ হয় না যে অফিসে, সেখানে এমন অনিয়ম ব্যাপার না তাদের কাছে। শুধু একজনের এমন সমস্যা না শতশত লোকের সমস্যাদি সৃষ্টি করে রেখেছেন। আবার সরকারী প্রজ্ঞাপনও মানেন না। মুন্ডুমালা তহসিল অফিসে গিয়ে দেখা যায়, দেদারসে অফিস চলছে। লোকে লোকারন্ন, তাদের কাছে জানতে চাওয়া এসময় অফিসে কি কাজের জন্য তারা অকপটে জানান, সকালে এলে বলে বিকেলে, বিকেলে এলে বলে সন্ধ্যা, কে বলে জানতে চাইলে বলেন তহসিলদার এভাবে ঘুরায় আর আসতে বলে। পার্শের ঘরে ফ্যান চালিয়ে আরামে একজন সিগারেট সেবন করছেন, আরেকজন ল্যাবটবে কাজ করছেন। তাদেরও একই কথা তহসিলদারের নির্দেশে কাজ চলছে। সাড়ে ৪ টা বাজলেও অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন রবিউল। এক পর্যায়ে সবাইকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে কার্যক্রম চালাচ্ছিল।

    রবিউল জানান, প্রজ্ঞাপন মানব না উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ মানব। একদিকে বলছে প্রতিদিন টাকার খাজনা আদায় করতে হবে। তাহলে তো প্রজ্ঞাপন কিভাবে মানব। আপনি খাস পুকুর সমোঝতায় টাকার বিনিময়ে দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, কিছুটা এরকম হয়েছে, আপনার মতই কোন না কোন সাংবাদিকের কথায় করতে বাধ্য হতে হয়েছে। এসব বিষয়ে আর কিছু বলতে চান নি তিনি।নবাগত সহকারী কমিশনার ভুমি আদিবা সিফাতের সাথে মুন্ডুমালা তহসিল অফিসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এসব নিয়ে মোবাইলে কথা বলতে চায় না, আপনি অফিস সময় সাড়ে ৩ টার দিকে আসবেন প্রজ্ঞাপন কেন মানছে না সরাসরি মন্তব্য করব।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ