• Uncategorized

    জীবননগরে পাটের ফলন ও দাম দুই- ই ভাল কৃষকের মুখে হাসি,

      প্রতিনিধি ২৫ আগস্ট ২০২০ , ৫:১৬:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো, রাশেদুল  ইসলাম (রাশেদ)-চুয়াডাঙ্গা  জেলা প্রতিনিধি:

    চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় বেশ কয়েক বছর পর কৃষকেরা পাটের ফলন ও ভাল দাম পাওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। পাট পচাতে পানিরও নেই কোন সমস্যা ফলে চাষিরা খুব সহজেই জমি থেকে পাট কেটে তা বাজার জাতের সুযোগ পাচ্ছেন। বাজারে পাটের চাহিদাও বেশ ভাল।

    জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়,উপজেলায় চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশী জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। চলতি মওসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে এক হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে এক হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে। এবার আবহাএয়া অনুকুলে থাকায় এবং ভাল দামের আশায় চাষিরা অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশী জমিতে পাটের আবাদ করেছেন।

    জীবননগর পৌর এলাকার গোপালনগর গ্রামের কিতাব আলী বলেন এবার আমি এক বিঘা জমিতে পাটের চা্ষ করেছি। বর্তমানে  বাজারে প্রতি মণ পাট( মান অনুযায়ী)  ২১০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা দরে কিক্রি হচ্ছে। আমি পাটের দামে খুশি। বিগত কয়েক বছর পাটের এমন দাম পাওয়া যায়নি।

    একই গ্রামের চাষি আমানত মন্ডল বণেন এবার পাটের ফলন ও দাম দুই- ই মোটামুটি ভাল। আমরা দামে খুশি। তবে উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় চাষিরা খুব বেশী লাভের মুখ দেখছেন না। তবে পাটখড়ির চাহিদা থাকায় তা বিক্রি করে বেশ ভালই টাকা পাওয়া যাচ্ছে।

    উপজেলার  কালা গ্রামের  খাজা আহমেদ বলেন,চলতি বছর পাট বীজ থেকে শুরু করে সারা মওসুম আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। সারা বছর বৃষ্টিপাত থাকায় বড়তি সেচ খরচ হয়নি। অন্যদিকে এবার নদ- নদী,বিল-খালে প্রচুর পানি থাকায় পাট পঁচাতেও বেগ পেতে হয়নি। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে কৃষকদের সরকার বীজ সারসহ অন্য প্রণোদনা দিয়েছেন। বাজানে অনেক দিন পর পাটের দামও ভাল।

    জীবননগর বাজারের পাট ব্যবসাী আব্দুল হামিদ বলেন, পাটকল বন্ধ ও শ্রমিক আন্দোলন। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির কারনে ব্যবসাীরা পাট কিনবে না কিনবে না তা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু বেসরকারি মিলগুলো নগদ টাকাঢ পাট কেনা শুরু করেছে এবং দামও ভাল দিচ্ছে,তাই আমরাও ভাল দামে চাষিদের নিকট থেকে পাট সংগ্রহ করছি।

    জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারমিন আক্তার বলেন,এ বছর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাট চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পাটের উৎপাদন ভাল হচ্ছে এবং সরকার প্রণোদনা দেয়ায় উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়েছে।  ভাল দামের আশায় চাষিরা এবার অনেক বেশী জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। তবে দাম সন্তোষজনক হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে।

     

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ