• Uncategorized

    পটুয়াখালীর কাছিছিড়া বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়ী মেয়ে হনুফার অনশন,হামলায় অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি!

      প্রতিনিধি ১৫ আগস্ট ২০২০ , ৪:৩২:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে মোসাঃ হনুফা আক্তার হিমা(১৭) বিয়ের দাবী নিয়ে ছেলের বাড়ীতে অনশন।বিয়ের দাবী জানাতেই হামলার শিকার হনুফা চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তী এমনটাই অভিযোগ পাওয়া যায়।

    ঘটনার সুএে স্থানীয়রা জানায়,গত ১৩ আগষ্ট রোজ বৃহস্পতিবার রাএ আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় বিয়ের দাবীতে হনুফা আক্তার হিমা প্রেমিক জিয়াউদ্দিন বাবলুর বাড়ীতে গিয়ে উঠে।এসময় বিয়ের দাবী জানালে বেধরক মারধর করে বাড়ী থেকে টেনে হিচড়ে বেড় করে দেন অভিযুক্তরা।

    মামলাসুএে যানাযায়, পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের কাছিছিড়া গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আজিজ মৃর্ধা পেশায় একজন মিস্ত্র তার ২য় কন্যা মোসাঃহনুফা আক্তার হিমা, একই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ গিয়াসউদ্দিন চকিদারের পুএ মোঃ জিয়াউদ্দিন বাবলুর সাথে দির্ঘ আট বছরের প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ছেলের বাড়ীতে বিয়ের দাবী নিয়ে গেলে মারদর করে বাড়ী থেকে তারিয়ে দেয়।

    এসময় ভুক্তভোগী হনুফার বাবা আজিজ মৃর্ধা বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।উক্ত অভিযোগে ৫ জনকে আসামী করা হয়। আসামীরা হলেন,১/মোঃ জিয়াউদ্দিন বাবলু(৩০) পিতাঃ গিয়াসউদ্দিন চকিদার(৬০)  ২/ গিয়াসউদ্দিন চকিদার পিতাঃ মৃত্যু,এরজ উদ্দিন চকিদার ৩/কাসেম চকিদার,(৪০) পিতাঃ মৃত্যু,খাদেম চকিদার  ৪/ রুহুল চৌকিদার(৫৫ )  পিতাঃ  ৫/ সিদ্দিক চকিদার( ৩৫) পিতাঃমৃত্যু,খাদেম চৌকিদার।

    এবিষয় ভুক্তভোগী হনুফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের এইচ,এস,সি ২য় বর্সের ছাএী।  আমার সাথে বাবলুর স্কুল জীবন থেকে ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। কয়েক বছর যাবৎ বিয়ে করবে করবে বলে টালবাহানা করছে আমি ওর কথা বিশ্বাষ করে অপেক্ষায় ছিলাম।   ও আমাকে ভোলা, কুয়াকাটা সহ বিভিন্ন স্থানে নিয়েগেছে। আমি তাকেই মনে প্রানে স্বামী বলেই গ্রহন করেছি।এখন আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরন ছাড়া আর কোন গতি নেই এমনটাই জানায়।

    সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়,মোঃ সহীদুল ইসলাম,নাসির মৃর্ধা,সহ একাধিক ব্যক্তি  বলেন,গত ২ বৎসর আগে ছেলের পরিবারের কাছে বিষয়টি অবহিত করলে তারা কোমরুপ কর্নপাত করেনি। উভয়ের সম্পর্ক সত্যি। আমরা স্থানীয়রা সঠীক বিচারের দাবী জানাই।

    উক্ত ব্যপারে অভিযুক্ত জিয়াউল বাবলুর পিতা গিয়াসউদ্দিনকে খুজে পাওয়া যায়নি। ছেলের মামা সিদ্দিক চকিদার এর মুঠোফোন যার নাম্বার(০১৭৩৪-৩৪৮১২১) কল করলে বিভিন্ন তালবাহানা করে ফোনটি কেটে দেয়।

    উক্ত ঘটনার বরাত দিয়ে ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃমোজাম্মেল হক জোমাদ্দার বলেন, আমাকে বিসয়টি অবহিত করলে আমি ঐ দিন রাএেই ঘটনাস্থলে যাই এবং স্থানীয় পর্যায় শালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে আলোচনা পর্যালোচনা করা হয়।

    এক পর্যায় বিয়ের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, কিন্তুু ছেলে পক্ষ টাকা দিয়ে আপদ কালীন সংকট সমাধানের চেষ্টা চালায়। তাৎক্ষণিক মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে হনুফাকে সদর হাসপাতালে এনে ভর্তী করা হয় বর্তমানে রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

    এবিষয় পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতার মোর্সেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি  তদন্ত সাপেক্ষে  প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ