• আইন ও আদালত

    ছিনতাই চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেফতার-৩

      প্রতিনিধি ১৫ এপ্রিল ২০২৪ , ৫:২৩:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত জঙ্গী, অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, ধর্ষণ, অপহরনসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, র‌্যাব-৫, রাজশাহীর সদর কোম্পানী মোল্লাপাড়া ক্যাম্প অপারেশন দল কর্তৃক মাদক ও বিশেষ অভিযান টহলডিউটি করাকালীন সময় ১৪/০৪/২০২৪ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে।

    রাজশাহী মহানগরের চন্দ্রিমা থানাধীন পদ্মা আবাসিক ভদ্রা হাজির মোড়ে কতিপয় ছিনতাইকারী ছিনতাই করার জন্য গোপনে অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ উক্ত ঘটনাস্থলে পৌছিলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পাইয়া ০৪ জন ছিনতাইকারী পালানোর চেষ্টা করিলে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় আসামী ১। মোঃ মাহিম হোসেন ওরফে আলিফ (২১), ২। মোঃ সজল হোসেন (২৮) দ্বয়কে আটক করা হয় এবং ০২ জন ছিনতাইকারী কৌশলে আবাসিক এলাকায় পালিয়ে যায়।

    উক্ত আটককৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা বলেন, তাহারা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে অবস্থান করিতেছিল এবং তাদের সহযোগী ছিনতাইকারী ৩। এস এম হাসান মুক্তাদির ওরফে কিউট (২৩), ৪। মোঃ জিসান হোসেন (২১) র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালাইয়া গিয়াছে। আটককৃত আসামীদ্বয় আরো জানায় যে, রাজশাহী মহানগর এলাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকৃত মালামাল উক্ত পলাতক আসামীদ্বয়ের ভাড়াটিয়া বাসা রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন ২৩৪/১ জামালপুর ২৬ নং ওয়ার্ড মৌজাস্থ জনৈক মোঃ গোলাম মর্তুজা (৬৬), (মোবাঃ ০১৭১৬০০০৫৭৩), পিতা- মৃত সোহরাব উদ্দিন মিয়া এর বাসায় মজুদ রাখিয়া গোপনে বিক্রয় করে।

    তখন আটককৃত আসামীদ্বয়ের দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন ২৩৪/১ জামালপুর ২৬ নং ওয়ার্ড মৌজাস্থ জনৈক মোঃ গোলাম মর্তুজা (৬৬), এর বাসায় পৌছামাত্র র‌্যাবের উপস্থিতি টের পাইয়া আসামী ৫। বিশাল (২২), পিতা- অজ্ঞাত, সাং-অজ্ঞাত, থানা-অজ্ঞাত ৬। সাকিল (২০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-অজ্ঞাত, থানা-অজ্ঞাত, ৭। মোঃ রাজন (২০), পিতা- অজ্ঞাত, সাং-অজ্ঞাত, থানা-অজ্ঞাত সকলেই রাজশাহী মহানগর ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন আসামী কৌশলে পালিয়ে যায়। পলাতক আসামী ৩। এস এম হাসান মুক্তাদির ওরফে কিউট (২৩) ও ৪। মোঃ জিসান হোসেন(২১) এর ভাড়াকৃত তৃতীয় তলার পূর্ব পাশের ইউনিট এর ঘরসহ আশেপাশে তল্লাশি করে নিম্ন বর্ণিত আলামত উদ্ধার করেন।

    অপারেশন দল কর্তৃক ক ১৪ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ ২৩.১৫ ঘটিকায় মহানগর রাজশাহী এর বোয়ালিয়া থানাধীন বাজে কাজলা এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে আরএমপি এর চন্দ্রিমা থানার মামলা নং-১৩, তারিখ- ১৪ এপ্রিল ২০২৪; জি আর নং-৭৭/২০২৪ (চন্দ্রিমা)। ধারা-৩৯৩/৪১২/৩৪ পেনাল ১৮৬০ এর এজাহারনামীয় ৭নং আসামী মোঃ রাজন রহমান (২০), পিতা- মোঃ আনারুল ইসলাম, মাতা-কামরুন নাহার, সাং-বাজে কাজলা, থানা-বোয়ালিয়া, মহানগর রাজশাহী’কে ১। মোবাইল-০২টি, ২। সীমকার্ড-০২ টি, ৩। মানি ব্যাগ-০১ টি, ৪। টিপ চাকু-০১ টি সহ গ্রেফতার করে। উক্ত সময় এজাহারনামীয় ৭নং আসামী মোঃ রাজন রহমান (২০), পিতা- মোঃ আনারুল ইসলাম, মাতা-কামরুন নাহার, সাং-বাজে কাজলা, থানা-বোয়ালিয়া, মহানগর রাজশাহী’কে সূত্রোক্ত মামলা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সত্যতা স্বীকার করে।

    আটককৃত আসামী ও পলাতক আসামীরা পরস্পর যোগ সাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ বর্ণিত ঘটনাস্থলসহ আশেপাশের এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র টিপ চাকু দ্বারা ভয়ভীতি দেখাইয়া ছিনতাই করিয়া আসিতেছে এবং আসামীরা খুবই দুঃধর্ষ এবং খারাপ স্বভাবের। তাদের ছিনতাই ছাড়া আর অন্য কোন পেশা নেই।
    গ্রেফতারকৃত উক্ত এজাহারনামীয় আসামীদ্বয় এবং পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ