• দুর্ঘটনা

    চাঁদার দাবীতে একাধিক মামলা, শিক্ষককে হয়রানি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ।

      প্রতিনিধি ৯ নভেম্বর ২০২৩ , ১০:১৮:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।

    পটুয়াখালী সদর উপজেলার নবগঠিত মৌকরন ইউনিয়নে চাঁদার দাবি পুরন না করায় নারী দিয়ে স্কুল শিক্ষককের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও রাতের আধারে বসতঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায় এনামুল হক এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

    মৌকরন ইউনিয়নের শ্রীরামপুর ৮ নং ওয়ার্ড গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান সরদার এর ছেলে এনামুল হক মাসুদ (৩৫) এর নেতৃত্বে দফায় দফায় মিথ্যা মামলা ও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আব্দুর রশিদ মাস্টার।

    অভিযোগ সুত্রে, গত শুক্রবার (০৩’নভেম্বর-২৩ ইং) তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক সোয়া ছয়টার দিকে আব্দুর রশিদ মাস্টারের দুই ছেলে রিয়াদ (১৭) ও রবিউস সানি(১৩) কে হত্যার উদ্দেশ্য দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছেনা, লোহার রডে নিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা ধাওয়া করলে তাদের ডাকচিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে আসলে দৌড়ে গিয়ে প্রান বাঁচায়। হামলাকারীরা হলো, (১). এনামুল হক মাসুদ (৩৫), পিতাঃ আব্দুল মান্নান সরদার, (২). ইলিয়াস হাওলাদার (২৬), পিতাঃ আলী আজগর হাওলাদার, (৩). মালেক হাওলাদার (৫২), পিতাঃ মৃত কদম আলী হাওলাদার, (৪). হিমু হাওলাদার (১৭), পিতাঃ ইব্রাহিম হাওলাদার, (৫). ইব্রাহিম হাওলাদার (৪৪), (৬). মিরাজ হাওলাদার (২১) উভয় পিতাঃ আলী আজগর হাওলাদার সহ আরও অজ্ঞাত ১০-১২ জন।পরে এঘটনাটি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম আলমগীর আলমগীর মিয়াকে জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থার জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে খালি বাড়িতে এসে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে হামলা চালায় এবং আগুন দিয়ে গরু পুরিয়ে মারা সহ বসতঘর পুড়ে ফেলার চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক টের পেয়ে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায় এবং প্রতিবেশীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার অনেক সাক্ষী পাওয়া গেছে।

    উল্লেখ্য, চলতি বছরের (১১”ই- ফেব্রুয়ারী-২৩ ইং) তারিখ রাবেয়া নামের এক ডিভোর্সি নারীকে দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা সাজিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এনামুল হক মাসুদ, ইলিয়াস, ইব্রাহিমসহ তাদের বাহিনীর লোকজন। চাঁদার টাকা না দেয়ায় রাবেয়া নামের ঐ নারীকে দিয়ে চলতি বছরে পটুয়াখালী বিজ্ঞ আদালত, ঢাকা কদমতলী থানা ও আমতলীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পৃথক পৃথক ৫ টি মিথ্যা দায়ের করে। এছাড়াও গত (২৫/০২/২৩ ইং) তারিখ ঐ নারীকে রশিদ মাস্টারের বাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা চালায় মাসুদ ও ইব্রাহিম সহ তার লোকজন।বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল চৌকিদার ও মহিলা মেম্বার ইসমতয়ারা বেগম জেনে ঐ নারীকে এসে নিয়ে যায়।

    রাবেয়া বেগম ডিভোর্সী নারী মামলা চলমান অবস্থায় অনর্থ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করছেন আর এদিকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে শিক্ষক আব্দুর রশিদ মাস্টার ও তার পরিবারের লোকজনকে। যার নেপথ্যে রয়েছে এনামুল হক মাসুদ, ইলিয়াস হাওলাদার, ইব্রাহিম হাওলাদার, মালেক হাওলাদার,মিরাজ হাওলাদার, হিমু হাওলাদার সহ আরও ১০-১২ জন।

    এই মিথ্যা মামলায় হয়রানি থেকে রেহাই পেতে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ছেলেদের জীবন বাঁচাতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন অভিযোগকারী আব্দুর রশিদ মাস্টার।

    এবিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন মাষ্টার বলেন,উক্ত ঘটনার ব্যপারে আমাকে রশিদ মাস্টার জানিয়েছেন। ঘটনার সত্যতা থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে জানাতে বলেছি বলে জানান।

    উক্ত ঘটনার ব্যপারে অভিযুক্ত এনামুল হক মাসুদ এর বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোন একাধিক বার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ