• খুলনা বিভাগ

    কালিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রেকর্ডিও জমিতে অবৈধ ডকইয়ার্ড চালানোর অভিযোগ

      প্রতিনিধি ১২ ডিসেম্বর ২০২২ , ২:২৪:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মাহাফুজুর রহমান-নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মাউলী ইউনিয়নের মহাজন উত্তর পাড়া গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রেকর্ডিও জমিতে অবৈধ ডকইয়ার্ড চালানোর অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের গহুর মোল্যার ছেলে ইয়াসিন মোল্যা(৪০), ছেকমত খানের ছেলে আলেক খান(৩৩), কালিয়া উপজেলার বিলবাউচ গ্রামের মোজাম উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম(৪০) ও একই উপজেলার নোয়াগ্রামের জহুর মিনার ছেলে আরোজ আলীর(৩০) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জমির মালিক মহাজন উত্তর পাড়া গ্রামের মকবুল খানের ছেলে নজরুল খান বাদী হয়ে ১ লা ডিসেম্বর নড়াইল বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

    ভুক্তভোগী নজরুল খান জানান, বিজ্ঞ আদালতের নোটিশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র কার্যালয়ে ও নড়াগাতী থানায় হস্তান্তর করা হলে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেও শোনেনি অভিযুক্তরা। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রোজী হকের দোহাই দিয়ে আদালতের নির্দেশ উপক্ষো করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে তারা। আমি এর সঠিক বিচার চাই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অভিযুক্ত ইয়াসিন ও রবিউল অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ চালানোর বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজ করতে বলেছেন বলে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচারন করে অন্য দিকে চলে যান।

    মাউলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোজী হকের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্তরা ১মাস কাজ করে চলে যাবে বলায় মানবিক কারণে আমি ওদের সময় দিয়েছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে বিষয়টি আমার জানা ছিলনা।
    স্থাণীয় ইলেকট্রিশিয়ান তহিদের সাথে আতাত করে অভিযুক্ত আলেক খানের পিতা ছেকমত খানের নামীয় আবাসিক মিটার থেকে সিষ্টেমে লাইন টেনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে কোন অনুমোদন না থাকা ডকইয়ার্ড। অবৈধ সংযোগের তারে বিভিন্ন জায়গায় জোড়া পট্টি লাগিয়ে প্রায় আধা কিঃ মিঃ দুর থেকে লাইন নেওয়া হয়েছে। আলেক খানে স্ত্রী ডলি বেগম বলে আমার শশুরের নামীয় মিটার থেকে লাইন নিয়ে আমরা ডকইয়ার্ড চালাই। মাস শেষে ৫/৬শত বিল দেই। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল।

    বিষয়টি ইলেকট্রিশিয়ান তহিদ অস্বীকার করে বলেন, ওই মিটারে সে কোন কাজ করেনি। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, বড়দিয়া শাখার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, আলেক খানের নামে নতুন বানিজ্যিক মিটার এসেছে। কিন্তু ওই জায়গায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা মিটার স্থাপন করি নাই। কিন্তু আবাসিক মিটার থেকে অবৈধভাবে লাইন নেওয়ার বিষয়ে তিনি জানেন না বলে জানান। নড়াগাতী থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, নোটিশ পেয়ে থানা পুলিশ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুনরায় কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা সহকারী (ভূমি) আফরিন জাহান বলেন, নোটিশ অনুযায়ী আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারী শুনানীর দিন ধার্য্য আছে। অভিযুক্তরা আদালতের নির্দেশনা না মানলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ