• সাহিত্যে

    একজন পারফেকশনিস্ট নওরীনের গল্প

      প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ১০:১৫:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    আসিফ খন্দকার:

    বহুল প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে, “যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে”। এই প্রবাদটিকে আরো একবার প্রমাণ করেছে নোয়াখালীর নওরীন।পুরো নাম সাঈদা তাসনীম নওরীন।পিতা শামসুল হক।মাতা তাজকেরা বেগম।বাড়ি নোয়াখালীতে হলেও বর্তমানে বসবাস মহাখালী তে।পড়াশোনা করছে দশম শ্রেণীতে বিএএফ শাহীন স্কুল&কলেজে।

    ছোটোবেলা থেকেই পড়াশোনা তে ভালো নওরীন।
    শ্রেণিতে সবসময়ই প্রথম স্থান অধিকার করে সে।
    প্রাপ্তির ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পুরস্কার। নোয়াখালী আঞ্জুমান মেধা বৃত্তি তে ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত সে।পড়াশোনার চাপ কিন্তু দমিয়ে রাখতে পারেনি তার অন্যান্য প্রতিভাগুলো।ছোটোবেলা থেকে সে ছবি আঁকতে ভালোবাসতো।তার এই আগ্রহ দেখে সম্পূর্ণ সাপোর্ট দেন।

    মা তাজকেরা বেগম।মায়ের সহযোগিতায় আর্টের বিভিন্ন দিকে বিচরণ শুরু হয় তার।সময়ের সাথে বৃদ্ধি পায় পারদর্শীতা।বিভিন্ন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়। সম্প্রতি সে হাতিল ফার্নিচার আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।এরইমাঝে করোনা চলে আসলে লকডাউনে ঘরবন্দী অবস্থায় সে শুরু করে ফেস আর্ট।চমৎকার মূকাভিনয়ের সাথে রঙ তুলির অপার পারদর্শীতায় নিজেকে রুপান্তর করে বিভিন্ন বিখ্যাত ক্যারেক্টারে।

    তার এই আর্টগুলো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মায়ের পরামর্শে সে ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেই ভিডিও আপলোড করে।প্রতিদিনই সহস্রাধিক মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে নওরীনের কাজগুলো।নওরীনের মা তাজকেরা বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাধ্যমতো যতটা সম্ভব সমর্থন করেন তিনি নওরীন কে।পড়াশোনার পাশাপাশি মেধা বিকাশের সব ক্ষেত্রে যেন তার সন্তান বিচরণ করতে পারে।

    সেই নিশ্চয়তা দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা তিনি করেন।সন্তানের মেধা বিকাশে সমাজকে বাধা হতে দেন না এই মা।নওরীন বড় হয়ে নভোচারী হবার স্বপ্ন দেখে। বিশ্বের শৈল্পিকতা ছাপিয়ে ভ্রম্মান্ডের সৌন্দর্য উপলব্ধি করার বাসনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নওরীন।দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদের পক্ষ থেকে তার জন্য রইলো অনেক শুভ কামনা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ