• ধর্ম

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ১৪৪৫ হিজরি নববর্ষের স্বাগত র‌্যালী অনুষ্ঠিত

      প্রতিনিধি ১৮ জুলাই ২০২৩ , ৮:৪১:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:

    আজ মঙ্গলবার ১৮ জুলাই’২৩ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট হতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে ১৪৪৫ হিজরি নববর্ষের স্বাগত র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক সাব্বির আহমেদ এর সভাপতিত্বে র‌্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

    র‌্যালী শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, হিজরি সন ও তারিখ অবগত থাকা মুসলমানদের জন্য ফরজে কেফায়া। হিজরী ইসলামী সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। হিজরী সন আমাদের প্রীয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মক্কা থেকে মদিনা হিজরতের ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় ঘটনার অবিস্মরণীয় স্মারক। হজরত ওমর (রা.) তার খিলাফতকালে হিজরতের ১৭তম বর্ষে হিজরী সন গণনা শুরু করেন।

    হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মারক বানিয়ে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) হিজরী সনের গোড়াপত্তন করেন। তিনিই সর্বপ্রথম মুসলমানদের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র চান্দ্রমাসের পঞ্জিকা প্রণয়ন করেন।

    হিজরতকে মূল্যায়ন করা হয় ‌‌আল ফারিকু বাইনাল হাক্কি ওয়াল বাতিল অর্থাৎ সত্য-মিথ্যার মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্যকারী বিষয় হিসেবে। হিজরতের পর থেকেই মুসলমানরা প্রকাশ্য ইবাদত ও সমাজ-গঠনের রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন। প্রকাশ্যে আজান, নামাজ, জুমা, ঈদ ও অন্য সবকিছু হিজরতের পর থেকেই শুরু হয়েছে। এ সব তাৎপর্যের দিকে লক্ষ্য করেই মুসলমানদের সন গণনা হিজরত থেকেই শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

    হিজরী সনের প্রভাব মুসলমানদের জীবনে ব্যাপক। জীবনের সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব ও গুরুত্ব আছে। বিশেষত ইবাদতের তারিখ, সময় ও মৌসুম নির্ধারণের ক্ষেত্রে হিজরী সনের প্রভাব ও গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণে হিজরী সনের হিসাব স্মরণ রাখা মুসলমানদের জন্য জরুরি। ধর্মীয় অনেক ক্ষেত্রেই হিজরী সনের প্রভাব আছে। যেমন- রমজানের রোজা,দুই ঈদ, হজ, যাকাত ইত্যাদি।

    তাই ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ হিজরি সনকে ইসলামী সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং দেশবাসীকে হিজরি সনকে উদযাপনের জন্য আন্তরিক আহবান করছে।

    ১৪৪৫ হিজরি নববর্ষ উপলক্ষ্যে মুহাররম মাসের প্রথম দশকের কর্মসূচি

    “হিজরী সনের উৎপত্তি, কারণ ও সমকালীন প্রাসঙ্গিকতা” শীর্ষক আলোচনা সভা
    ইতিহাস অধ্যয়ন (মুসলিম উম্মাহের ইতিহাস-ইসমাঈল রেহান/ক্বারী তাইয়েব সাহেব রহ. এর কারবালার ইতিহাস)
    রোযা পালন (৯ ও ১০ / ১০ ও ১১ মুহাররম) : নিন্মোক্ত কর্মের মাধ্যমে প্রথম দশক অতিবাহিত করা-
    বিগত দিনের ভুলের ক্ষমা প্রার্থনা করে
    • সালাতুত তাওবাহ আদায় করে
    • আগামী দিনের কল্যাণ কামনায় সালাতুল হাজত আদায়ে
    • ঘরে ঘরে জিকির ও দুয়া- মুনাজাতের মাধ্যমে সবাই সবার কাছে ক্ষমা চাওয়া
    • (আমি আপনাকে মাফ করলাম, আমাকেও আপনি মাফ করুন)
    • ঋণ পরিশোধ ও যাকাত আদায় করার মাধ্যমে
    • অভুক্ত মানুষদের আহার পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে
    • সুস্থ, সুন্দর, সত্য, ও শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে আপনিও আত্মনিয়োগ করুন

    স্বাগত র‌্যালীতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুনতাছির আহমাদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আল আমিন সিদ্দিকী, দফতর সম্পাদক শিব্বির আহমেদ, প্রচার সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ আলী হায়দার, কওমি মাদরাসা সম্পাদক হোসাইন আহমাদ, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি ইউসুফ পিয়াস, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মাইদুল ইসলাম সিয়খম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ