• আইন ও আদালত

    পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

      প্রতিনিধি ১০ নভেম্বর ২০২২ , ১১:০৫:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

    পাবনা প্রতিনিধি:

    রাজধানীর দক্ষিণখানের আনিছবাগ ২৯২ নং ভাড়াবাসায় পাবনার এক কিশোরী মেয়ে রুপাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলা নং-৫৫৬/২০২২ ধারা ঃ৩০৬/৩৪/৫০৬ দন্ড বিধি । বুধবার (৯ নভেম্বর) ভুক্তভোগীর মা আংগুরী বেগম পিতা- মোঃ আনছার মিয়া স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম চন্ডিপুর বিরাহিম পুর থানা সাথিয়া জেলা পাবনা, বতমান ঠিকানা-দক্ষিন খাঁন,বাসা-৬৫৯ মাদ্রাসা রোড,দক্ষিন খান,ঢাকা বাদী হয়ে মূখ্য মহানগর হাকিম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহর আদালতে মামলা করেন । আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলার অন্য আসামিরা হলেন পাবনা বেড়া উপজেলা নয়াবাড়ী গ্রামের মৃত আনছারের ছেলে মোতাহার, বসন্তপুর নগরবাড়ী গ্রামের মৃত কামাল সনদারের ছেলে জুনাব সরদার (৬০) ও গফুর মেম্বরের ছেলে বুক্কা (৪৫) । মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ৬ মার্চ আসামি রেজাউল হক বাবু ভুক্তভোগী তরুণী রুপাকে ধর্ষণ করেন। এ কথা কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তারপর থেকে গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আসামি রেজাউল হক বাবু ভুক্তভোগী তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে ভুক্তভোগী তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ভুক্তভোগী তরুণী ও তার মা বিষয়টি আসামি রেজাউল হক বাবুকে জানান। এরপর আসামি রেজাউল, মোতাহার, জুনাব সরদার, বুক্কা তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি অন্যদের জানাতে নিষেধ করেন। পরবর্তীতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী তরুণী আত্মহত্যা করেন।

    এ দিকে মামলার বাদী রুপার মা আংগুরী বেগম মুঠোফোনে বলেন তার স্বামী নাই । এলাকায় কিছু লোকের কাছে টাকা পাইতাম, পাওনা টাকা না দেওয়ায় পাবনা বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুর কাছে ফোনে বিচার দিলে, তিনি আমাকে আসতে বলেন। আমি ঢাকা থেকে দের দুই বছর আগে চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করি এবং আমার সব বিষয় খুলে বলি, উনি আমার টাকা তুলে দিবে এবং সহযোগিতা করবে বলে জানায়। এ দিকে আংগুরী বেগম ঢাকায় না ফিরতেই তার ফোনে চেয়ারম্যান বাবুর ফোন আসতে শুরু করে। এক পর্যায় তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক পরে তার ঢাকার বাসায় যাতায়াত। দির্ঘদিন বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে চেয়ারম্যান বাবু।

    আংগুরী বেগম আরো বলেন বাবু চেয়ারম্যান আমার সাথে সম্পর্ক করায় বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। সেই সুযোগে আমার ছোট নাবালিকা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মেয়ে রুপার উপর ও কুদৃষ্টি পরে এবং চেয়ারম্যান বাবু আমার মেয়েকে নিজের মেয়ে বলে বাহিরে ঘুরতে নিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। মেয়ে আন্তসত্বা হলে বিষয়টি আমার কাছে বলে। মা আংগুরী বেগম বিষয়টি চেয়ারম্যান বাবুর কাছে ফোনে বললে বাবু বিগত সব কিছু ভুলে যাওয়ার কথা বলে। নাবালিকা মেয়ে রূপা বিষয়টি জানতে পারে তার মায়ের সাথেও অবৈধ সম্পর্ক ছিল, তখন মেয়ে রুপা আত্বহত্যার পথ বেছে নেন। এ দিকে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায় নাই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ