• বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    ফেসবুক নিয়ে আবারও আলোচনার দৃশ্যপটে ফ্রান্সিস হাইজেন

      প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২১ , ৩:৪১:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্কঃ

    হাউজেনের মতে জাকারবার্গ ফেসবুকের গাঠনিক কাঠামোর দিকে যতটা না দৃষ্টি দিচ্ছে, তার সিকি ভাগও দিচ্ছে না ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার দিকে। মেটা স্ট্রাকচারের আকারে ফেসবুক আসছে মেটা নাম নিয়ে অথচ তথ্য নিরাপত্তা দিতে এখনও অপারগ ফেসবুক। তথ্য নিরাপত্তার দিকে দৃষ্টি না দিয়ে কাঠামোগত জায়গা নিয়ে জাকারবার্গের মাতামাতিকে হাউজেন ‘বিবেকবর্জিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। হাউজেনের মতে জাকারবার্গ যতদিন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে থাকছে ততদিন ফেসবুকে তেমন কোনো পরিবর্তন আসছে না।

    হাউজেন সম্প্রতি ফেসবুক থেকে ১০ হাজার গোপন নথিপত্র ফাঁস করেছে। অনলাইন দুনিয়ার অনেকের কাছেই তিনি ‘হুইসেলব্লোয়ার’ নামে পরিচিত। অনুষ্ঠিত সম্মেলনে হাউজেন বলেন, ‘আমার মনে জাকারবার্গ বাদে অন্য যেকেউই ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী পদের জন্য মানানসই হবে। কেননা সামাজিক মাধ্যমে যেকোনো কর্তাব্যক্তিই চাইবে প্রথমে নিরাপত্তার দিকে দৃষ্টি দিতে।’ যদিও হাউজেন স্বীকার করেছেন যে মেটার ওপর জাকারবার্গের নিয়ন্ত্রণ যে কোনো স্বাধীন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য একটি সমস্যা ছিল যারা শীর্ষে পরিবর্তন আনতে চায়। জাকারবার্গ মেটাতে ভোটিং শেয়ারের সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিকানার

    মাধ্যমে কোম্পানিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করেন, যা তার অবস্থানকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে।‘ফেসবুকের ৫৪ শতাংশ ভোটিং শেয়ার জাকারবার্গের হাতে। সে একাধারে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছে। তবে আমি মনে করি বাকি শেয়ারহোল্ডারদেরও একটি নিজস্ব মতামত থাকা উচিত। অন্ততপক্ষে নিজেদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেদের নির্বাচিত করার অধিকার দেওয়া উচিত,’ মন্তব্য করেন ফ্রান্সিস হাউজেন।আরও পড়ুন- টেসলার শেয়ার দান করবেন এলন মাস্ক

    ফেসবুক বর্তমানে মেটা ইউনিভার্সের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জায়গা থেকে নিজেদেরকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে ফেসবুক। হাউজেন বলেন, ‘কগ্রেসের কাছে আমি যেসব গোপন নথি তুলে দিয়েছে তাতে করে একটা জিনিস সকলের পরিষ্কার বোঝা উচিত যে ফেসবুকের মূল লক্ষ্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে না দিয়ে মানুষের তথ্য নিরাপত্তার দিকে দেওয়া উচিত।’

    সম্প্রতি মেটা মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামের ফটো শেয়ারিং অ্যাপের কার্যক্রমকে চিকিৎসকরা শিশুদের মানসিক বিকাশের অন্তরায় বলে আখ্যা দিয়েছে। একইভাবে চলতি বছর জানুয়ারিতে ওয়াশিংটনে ঘটে যাওয়া দাঙ্গার ঘটনার জন্যও প্রভাবক হিসেবে ফেসবুককে দায়ী করা হয়েছে। হাউজেন বরাবরই ফেসবুকের নিরাপত্তা জোরদার নিয়ে সোচ্চার ছিল। হাউজেনের মতে, ফেসবুক দিনকে দিন তাদের ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করছে ঠিকই কিন্তু মৌলিক পরিবর্তনের জন্য যা যা করা দরকার সেখানে ফেসবুকের গাফলতি দেখা যাচ্ছে।

    প্রতিদিন প্রায় ২.৮ বিলিয়ন মানুষ মেটা মালিকানাধীন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে। এবারের ওয়েব সামিটে হাউজেন এসকল মানুষের তথ্যের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ