• রাজশাহী বিভাগ

    হঠাৎ বেড়েছে চালের দাম বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ।

      প্রতিনিধি ২০ মার্চ ২০২২ , ৫:৩৪:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    এস এম শামীম হাসান,মহাদেবপুর প্রতিনিধি:

    মোটা চালের সরবরাহ না থাকায় নওগার মহাদেবপুরে বেড়েছে মাঝারি ও চিকন চালের দাম।এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের মানভেদে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি নিয়ে ব্যাবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখালেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। খুচরা বাজারের একজন চাল বিক্রেতা জানান,মিলে চালের দাম বেশি হওয়ায় তাদের বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।মিল মালিকরা জানান,এখন আন সিজন যার কারনে বাজারে ধান সংকট।অধিক লাভের আশায় বড় বড় ব্যবসায়ীরা ধান কিনে মজুদ করেছেন।

    তাই চালের বাজার দিন দিন বেশি হচ্ছে বলে অভিযোগ স্হানীয়দের। ছোট-বড় মিলে উপজেলায় প্রায় ৬০০ টি অটোমেটিক-হাসকিং রাইস মিলে উৎপাদিত লাখ লাখ টন চাল স্হানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। যার ফলে মহাদেবপুর মোকামে চালের দাম বৃদ্ধি পেলে অস্হির হয়ে ওঠে সারা দেশের বাজার।দিন দিন চালের দাম বুদ্ধি পাওয়ায় কষ্ঠের ভিতর পরেছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।উপজেলার মেসার্স শিউলি অটোরাইস মিলের মালিক আব্দল জব্বার জানান,গত সপ্তাহে চিকন জিরা শাইল চাল বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ৫৪ টাকায়,মিনিকেট ৫৬ টাকা ও কাটারি ভোগ ৫৮ টাকায়।

    বর্তমানে সবগুলোতেই কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা বেড়েছে।অটোরাইস মিল এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ওসমান গনি জানান, অধিক লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা ধান বাজারে ছারছেন না।এক নিম্ন আয়ের মানুষ জানান,সর্বোচ্চ দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। দ্রব্যমৃল্যের ঊর্ধ্বগতির কারনে চরম বিপাকে পরেছেন।ইউএনও মিজানুর রহমান মিলন জানান,অকারনে কেউ দ্রব্যমৃল্যে বেশি নিলে আইনগত ব্যাবস্হা গ্রহন করবেন।জেলা প্রশাসক ইতিমধ্যেই বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহন শুরু করেছেন।নির্দেশনা পেলে মহাদেবপুরে ও বাজার মনিটরিং করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ