প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২০ , ৯:১২:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
কবিতাঃ-সীমান্তের কয়েদি…………….
লেখকঃ শিহাব আহম্মেদ
পৃথিবীর প্রতিটি দেয়াল আমাকে যেনো বন্দি করেছে
বন্ধনী মুক্ত বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে ছুটার ইচ্ছে ছিল,
অন্য প্রান্তে বিজয় নিশান উড়াবার একযে নেশা ছিল!
সীমান্তের প্রতিটি কাঁটাতার আমায় একাকিত্ব করেছে।
বিশ্বগ্রামের নামে আমার হাত পা যেনো রশি দিয়ে বাঁধা
আমার ভেতরে কীসের এতো হাহাকার অস্থিরতা গাথা?
আমার ভিতরের পাখিটা কেনো সীমানা পাড়ি দিতে চায়
উড়ে বেড়াতে চায় কেনো ভূমধ্যসাগরের প্রান্তে প্রান্তে!
বুকে জমানো কষ্ট আড়ালে অশ্রভেজা চোখ কারশীতে ক্লান্ত হয়ে নিজেই বেরিয়ে পড়লাম সত্য সুখের সন্ধানে ;
দেখি কী যে সুখ আমার চারপাশের স্নিগ্ধকর সবুজে !
পুরো পৃথিবী তো আমারই এক নান্দনিক বিচরন ক্ষেত্র।
কোন অলুক্ষণে কুখ্যাত জনরা করলো টুকরো টুকরো
পৃথিবীর বুকের ভিতর কাঁটাতার আর দেয়াল দিয়ে?
আমার অন্তরের সুখ ক্ষুর দিয়ে পিষে দিলো সীমান্তে,
মানুষে মানুষে বিভেদের এক কারাবাস নির্মাণ করে।
আহা ! বিধাতা! কী অপরূপ স্বাজে সাজিয়েছ বিশ্ব
ডোরের মিষ্টি সুবাস আর জেসমিনের ঠান্ডা পরশ,
বছরের তিনশত পয়ষট্টি দিন যেনো কাটে হিসেবে
পুরো পৃথিবী আমার ঘুরে দেখা হয়না কোনোভাবে।
কোন এক অজ্ঞাত কারনে আমি অন্যের কাছে জিম্মি
মুক্তি বলে কী আদৌ কি কোন শব্দ আছে অভিধানে ?
খাঁচার পাখিকে তোমরা যতই বলে দাও উড়াল দিতে ,
সীমান্তের প্রহরীরা ভূমি রক্ষায় আমার বুকে গুলি ছুরে।
কেউ হয়তো ছুটে যেতে পারেনা আবার কেউ চেষ্টা করে কিন্তু বেলা শেষে দু’পা সামনে বাড়িয়ে দেখি শেকল পরে
প্রকৃতির কাছে আত্মসমর্পণ করা আর হয়ে ওঠে না ,
নিজস্ব কারাবাসেই লিখে যেতে চাই তাই নিজ পরিচয় ।