• Uncategorized

    শ্রীমঙ্গলে চা পাতার কাটিং অংশ বিশেষ দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈব কম্পোষ্ট সার।

      প্রতিনিধি ১৯ জুন ২০২০ , ৫:৩০:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    প্রকৃতির লীলাভূমি ও দুই পাতা এক কুঁড়ির দেশ খ্যাত পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল উপজেলার সৌন্দর্যের কথা কে না জানে, দেখলে যেন মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। প্রতিদিন এখানে আসে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটন প্রেমী মানুষ ঘুরে ফিরে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে, হৃদয় প্রাণ উজাড় করে। ভিন্নরকম এক তথ্যে রীতিমতো হতবাক স্থানীয়রা, চা পাতার পরিত্যাক্ত অংশ বিশেষ দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈব কম্পোষ্ট সার।

    শ্রীমঙ্গল উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ৪নং সিন্দুরখান ইউনিয়ন সিক্কা গ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে সাধারন কৃষকরা  তৈরি করছেন করই পাতা,শুকনা  চা গাছের  পাতা যা বাগানে কাটিং করে পেলে দেন আর গরিব ও দিনমজুররা কুড়িয়ে আনেন রান্নার কাজে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহারের জন্য,সেই পাতায় তৈরি করছেন জৈব কম্পোষ্ট সার।

    যারা তৈরি করছেন তারা   বিভিন্ন গাছের পাতা গুবর দিয়ে নিজেদের জন্য নিজেরাই বানাচ্ছেন পরিবেশ বান্ধব এই সার,  পরে তা পঁচে গেলে বা শুকনা অবস্থায় বাড়ির মহিলারা তাতে বিভিন্ন জাতের লাউ গাছ সহ সৃজনী সবজি ফলন করেন, এ যেন এক অবিশ্বাস্য রূপকথার গল্পের মত, বুঝতেই পারছে না ভালো ফলনের জন্য গাছের নিচে কোন প্রকার সার বা কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই অধিক ফলন হওয়ায় রীতিমতো হতবাক অনেক পরিবার।

     অনেকেরই প্রশ্ন  কি করে এত ফলন গাছে? আমরা যে চা পাতার অবশিষ্ট অংশটুকু ফেলে দেই সেখানেই বুঝি গাছ লাগিয়ে আজ সবজির বাম্পার ফলন। তখন থেকেই শুরু হয় গ্রামের মানুষের মাঝে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ। বাগান থেকে  যারা চা পাতার কাটিং অংশ নিয়ে আসেন,  তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন বাগানে ফেলে দেওয়া অংশ বিশেষ।জানা যায় সিন্দুর খান ইউনিয়নের সিক্কা গ্রামের আব্দুর রহিম,জাফর আহমেদ মজিদ,নূর মিয়া,বুট্টু মিয়া,আলতা মিয়া সহ অনেকেই এখন আর বাজারের সার ব্যবহার করেন না।তারা সকলে নিজেরাই তৈরি করছেন জৈব কম্পোষ্ট সার। আর তা ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ কৃষক। অল্প খরচে এবং পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় অনেকে নিজের প্রয়োজন মতো তৈ্রি করছেন এই জৈব কম্পোষ্ট সার।

    এ বিষয়ে স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, এতদিন যা আমরা অপ্রয়োজনীয় ভেবে পেলে দিতাম, আজ সেটাই অতুলনীয় ভুমিকা রাখছে। স্থানীয় পৃষ্টপোষকতা পেলে হয়তো তা হতে পারে বানিজ্যিক ভাবে বাজার জাত,উপকৃত হবেন এদেশের সাধারন কৃষক,আর আমরা পাব বিষ মুক্ত সবজি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ