• আইন ও আদালত

    সিরাজদিখানে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা আহত-২

      প্রতিনিধি ১৭ জুলাই ২০২২ , ১২:৪১:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পূর্বশত্রুতার জেরে হামলায় ২ জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর পরিষদ সংলগ্ন বাজারে। এতে আহত হয় মো.শামীম(৩১) ও সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর খান। শুক্রবার ১৫ জুলাই বিকেল ৫টায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকালের দিকে শামীম তার মার্কেটে বসে চা খাচ্ছিলো। এমন সময় মিজান ও তার সাথে থাকা ১০/১৫ জন শামিমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

    ভুক্তভোগী মো. শামীম বলেন, প্রায় ছয় মাস পূর্বে আমি মিজানের একটি জায়গা ভরাট করে দেই। তাতে বিল আসে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা। সেই টাকা না দিয়ে সে আমাকে দীর্ঘদিন ঘুরায়। পরবর্তীতে এই টাকার বিষয় তার সাথে গ্যাঞ্জাম হলে সে র‍্যাব দিয়ে আমার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মিথ্যা মামলা দেয়। আমার বাড়িতে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ আছে সেখানে আপনারা দেখেন র‍্যাব আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তবে তারা মামলার এজাহারে লিখেছে আমি মিজানের বাড়িতে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে আমাকে ধরে নিয়ে গেছে।জেল থেকে জামিনে আসার পর থেকে আমি মিজানের ভয়ে এলাকায় আসতে পারিনা।

    এই কোরবানি ঈদে বাড়িতে আসছি এতে সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে বলছে আবার আমাকে র‍্যাব দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে দেবে। গত শুক্রবার বিকেলে আমি আমার মার্কেটে বসে চা খাচ্ছিলাম এমন সময় মিজান, খলিল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিলু(৫৩), নিলু হোসেন(৫০), আক্তার হোসেন(৩৫), মুন্নাফ সরকারের ছেলে হাবিবুর সরকার(৪৫), রুহুল আমিনের ছেলে শাহীন(৪০), সুলতান আহমেদের ছেলে মুকুল(৪২), সজীব (৩০), হাবিবুর রহমান সরকারের ছেলে মো. আশিখ(২০)সহ ১৫/২০ জন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমিসহ সাবেক ইউপি সদস্য গুরুতর আহত হয় আমি হামলাকারীদের বিচার চাই।

    এ ছাড়া আমাকে মিথ্যা ভাবে যে হয়রানি মুলক মামলা দিয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানাই। সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বলেন, শামীমের সঙ্গে আমার ছেলে ও ভাতিজা চলাফেরা করে এর জেরে আজ শনিবার সকালে আমার ছেলেকে মিজানের লোকজন দৌড়ানি দেয়। আমি সেখানে থামাতে গেলে তারা আমার মাথায় বাড়ি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলে। আমি এর বিচার চাই। অভিযুক্ত মিজানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ