• খুলনা বিভাগ

    লোহাগড়ায় রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম

      প্রতিনিধি ৩১ আগস্ট ২০২৩ , ১:০১:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো.মাহাফুজুর রহমান-নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের চর কোটাকোল ডাকুর মোড় থেকে চর কোটাকোল সমিতির ঘর পর্যন্ত ১৫ শত ৫০ মিটার রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তার সত্যতা মিলেছে। জানা যায় এলজিইডি অফিস এর আওতাধীন এই রাস্তার কাজ হচ্ছে এবং জাকির নামে একজন ঠিকাদার ওই কাজটা পেয়েছে,কিন্তু ওই ঠিকাদার কাজটা আরেক ঠিকাদার জাহাঙ্গীর নামে তার কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন,

    স্থানীয়রা জানাই তড়িঘড়ি করে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ এই কাজটি করে যাচ্ছেন এই কাজটি মনে হয় পৃথিবীতে সবথেকে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে, এসময় সাংবাদিক এবং অফিস এর লোকদের দেখে স্থানীয়রা বলেন পাশের মাই গ্রামে একটি রাস্তা হয়েছে আপনারা সেটি দেখুন এবং আমাদের এই রাস্তা দেখুন যে আমাদের এই রাস্তা কি নিম্নমানের অনিয়মে হচ্ছে, দোকানদার সজীব সহ কয়েকজন জানান রাস্তার কাজ এমনিতেই নিম্নমানের রয়েছে তাছাড়া কাজ শেষ পর্যায়ের দিকে বটতলা এসে যে কাজ করেছে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ সেটা রাতের আঁধারে করেছে, তারা আরও বলেন যে রাত ১১ টার পরে প্লিজ এবং ভিটোমিন ছাড়াই তারা রাস্তায় কাজ করেছেন,

    এর ফলে ২-৩ দিন না ঘুরতেই গুড় দিয়ে মুড়ি মাখানোর মতো রাস্তা নির্মাণ কাজ করে গেছেন আপনারা দেখুন হাত দিয়ে টেনে রাস্তার পিজ পাথর তুলে ফেলানো যাচ্ছে,এই নিম্নমানের কাজ হয়েছে আমরা বলাই ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ তারা বলছেন যে আমরা শাবল দিয়ে তুলে ফেলেছি, এবিষয়ে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঠিকাদার জাহাঙ্গীর সেখান থেকে শটকে পড়েন, এবং সাংবাদিকদের তথ্য দিবেন না বলে জানিয়ে দেন,

    এসও সাইফুল ইসলাম এর সহযোগী সেখানে পাবলিকদের সামনে সাংবাদিকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন,রাস্তার কাজে অনিয়মের বিষয়ে লোহাগড়া এলজিইডি অফিসের এসও সাইফুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে অনিয়মের বিষয় তিনি এড়িয়ে যায়,এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কাজের অনিমের সত্যতা শিকার করেন ও বলেন যেখানে কাজ ভালো হয় নাই আমি ঠিকাদার কে বলে পুনরায় সেই কাজ করিয়ে দিবেন,এবিষয়ে কাজের সার্বিক বিষয়ে তথ্য নেওয়ার জন্য লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাইদ মো.জসিম এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোনটা রিসিভ করেন নাই, এবং অফিস থেকে কোন তথ্য জানা যায় নাই,

    লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আজগর আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন রাস্তার কাজের বিষয়টি ইতিমধ্যে আমি জানতে পেরেছি সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এবং তিনি আরও বলেন রাস্তা নাকি পাবলিক খুঁজে ফেলছে সেটা আমরা জানতে পেরেছি এটা না করে অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিব।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ