• আইন ও আদালত

    রামগতিতে রাস্তার কাজ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে হাতাহাতি

      প্রতিনিধি ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ১২:২৪:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

    এইচ.এম.আল-আমিন,স্টাফ রিপোর্টার

    লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেল ও চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদারের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি জব্বার আলী সড়ক নামের একটি রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার তার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি জব্বার আলী নামক একটি রাস্তায় ৪ মেট্টিকটন টিআর প্রকল্পের আওতায় মাটির কাজ করান। খবর পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা ও রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেল ও তার ছোট ভাই ফরান আযাদ কোয়েল ভেকু মিশন নিয়ে রাস্তাটি ভেঙে পেলতে উপস্থিত হয়ে কাজে বাধা দেয়।এ নিয়ে দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।

    এসময় চররমিজ ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে উভয়ের গায়ের জামাও ছেড়ে ছিঁড়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ফরান আযাদ কোয়েলের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদারের ৬ জন কর্মীকে মারধর করেন। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

    এ বিষয়ে চররমিজ ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার বলেন, ওই রাস্তায় ৪ মেট্টিকটন টিআর প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাস্তার কাজ সম্পুর্ন হওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই কোয়েল দলবল সহ ভেকু মিশন নিয়ে রাস্তাটি ভেঙে পেলতে আসলে আমি কারণ জিজ্ঞাসা করলেই তারা আমার উপর ছড়াও হয়।রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন বলেন,কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে খবরটি শুনছেন তিনি।রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন,বিষয়টি আমি এমাত্র শুনলাম। একজন উপজেলা চেয়ারম্যান অন্যজন ইউপি চেয়ারম্যান। দুজনই জনপ্রতিনিধি। এগুলো একেবারে উচিত নয়। তবুও আমি উভয়ের সাথে কথা বলবো।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ