• ধর্ম

    রমজান বিদায়ের পথে, গুনাহ মুক্ত হতে পেরেছি? মুফতী আঃ কাদের কারিমী

      প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২২ , ১১:২৭:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    আলোকিত ইসলাম ডেস্ক:

    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَىَّ
    وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ ثُمَّ انْسَلَخَ قَبْلَ أَنْ يُغْفَرَ لَهُ
    وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ أَدْرَكَ عِنْدَهُ أَبَوَاهُ الْكِبَرَ فَلَمْ يُدْخِلاَهُ الْجَنَّةِ ‏
    আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তার নাক ভূলুন্ঠিত হোক যার কাছে আমার নাম উল্লেখিত হল, কিন্ত সে আমার উপর দরূদ পাঠ করেনি। ভুলুন্ঠিত হোক তার নাক যার নিকট রমযান মাস এলো অথচ তার গুনাহ্‌ মাফ হয়ে যাওয়ার পূর্বেই তা পার হয়ে গেল। আর ভূলুন্ঠিত হোক তার নাক যার নিকট তার বাবা-মা বৃদ্ধে উপনিত হলো, কিন্ত তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করায়নি (সে তাদের সঙ্গে ভাল আচরণ করে জান্নাত অর্জন করেনি)। আবদুর রহমানের রিওয়াইয়াতে কিংবা ‘‘যে কোন একজন’’ কথাটুকুও আছে।
    জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫৪৫
    أَبْوَابُ الدَّعَوَاتِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ | بَابٌ

    প্রিয় মুসল্লি ভাইসব!
    এখন সংক্ষেপে গুনাহ মাফের নির্বাচিত এগারো টি উপায় জানব ইন শা আল্লাহ।

    গুনাহ মাফের উপায় (১)
    একনিষ্ঠ তাওবা,

    উদাহরণ-১
    یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا تُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ تَوۡبَۃً نَّصُوۡحًا ؕ عَسٰی ربُّکُمۡ اَنۡ یُّکَفِّرَ عَنۡکُمۡ سَیِّاٰتِکُمۡ
    হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর, খাঁটি তাওবা; আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন
    তাহরিম-৮

    উদাহরণ-২
    عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لاَ ذَنْبَ لَهُ ‏.‏

    (আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ :
    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ গুনাহ থেকে তওবাকারী নিষ্পাপ ব্যক্তিতুল্য।
    সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২৫০
    كِتَابُ الزُّهْدِ | بَابٌ : ذِكْرُ التَّوْبَةِ

    উদাহরণ-৩
    عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ كُلُّ بَنِي آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ ‏ ‏.‏
    আনাস (রাঃ) , থেকে বর্ণিতঃ:
    রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক আদম সন্তানই গুনাহগার। আর গুনাহগারদের মধ্যে তওবাকারীগণ উত্তম।
    সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২৫১
    كِتَابُ الزُّهْدِ | بَابٌ : ذِكْرُ التَّوْبَةِ

    উদাহরণ-৪
    عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏:‏ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَيَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْ ‏”‏ ‏.‏

    আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রূহ কণ্ঠাগত না হওয়া (মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত) পর্যন্ত মহামহিম আল্লাহ বান্দার তওবা কবুল করেন।
    সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২৫৩
    كِتَابُ الزُّهْدِ | بَابٌ : ذِكْرُ التَّوْبَةِ

    উদাহরণ-৫
    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لَلَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ أَحَدِكُمْ مِنْ أَحَدِكُمْ بِضَالَّتِهِ إِذَا وَجَدَهَا ‏”‏ ‏
    আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ তার হারানো মাল ফিরে পেলে যতটা আনন্দিত হয়, তোমাদের কারো তাওবায় (ক্ষমা প্রার্থনায়) আল্লাহ তা’আলা তার চাইতে বেশি আনন্দিত হন।
    জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫৩৮

    উদাহরণ-৬
    عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَبْسُطُ يَدَهُ بِاللَّيْلِ لِيَتُوبَ مُسِيءُ النَّهَارِ وَيَبْسُطُ يَدَهُ بِالنَّهَارِ لِيَتُوبَ مُسِيءُ اللَّيْلِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا ‏”‏ ‏.‏

    আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, রাতে আল্লাহ তা‘আলা তার নিজ দয়ার হাত প্রসারিত করেন যেন দিবসের অপরাধী তার নিকট তাওবাহ্‌ করে এমনিভাবে দিনে তিনি তার নিজ হাত প্রশস্ত করেন যেন রাতের অপরাধী তার নিকট তাওবাহ্‌ করে। এমনিভাবে দৈনন্দিন চলতে থাকবে পশ্চিম দিগন্ত থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত।
    সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৮৮২
    كِتَابٌ : التَّوْبَةُ | بَابٌ : قَبُولُ التَّوْبَةِ مِنَ الذُّنُوبِ

    *তাওবার শর্ত চারটি,
    (এক)
    গুনাহ থেকে ফিরে আসা,
    (দুই)
    কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়া,
    عَنِ ابْنِ مَعْقِلٍ، قَالَ ‏:‏ دَخَلْتُ مَعَ أَبِي عَلَى عَبْدِ اللَّهِ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ”‏ النَّدَمُ تَوْبَةٌ ‏
    আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    আমি আমার পিতার সাথে আবদুল্লাহ (রাঃ) -এর নিকট উপস্থিত হলাম। আমি তাকে বলতে শুনলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “অনুতপ্ত হওয়াই তওবা”।
    সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২৫২
    كِتَابُ الزُّهْدِ | بَابٌ : ذِكْرُ التَّوْبَةِ
    (তিন)
    ভবিষ্যতে গুনাহ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা,
    (চার)
    বান্দার হক আদায় করে দেওয়া।

    গুনাহ মাফের উপায় (২)
    ইস্তেগফার পড়া(ক্ষমা প্রার্থনা করা)

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ