• Uncategorized

    যুগে যুগে রমাযান

      প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২৩ , ১০:৪১:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মুফতী আঃ কাদের কারিমী আলোকিত ইসলাম ডেস্ক

    পৃথিবীর প্রথম মানুষ থেকেই রমজানের ধারাবাহিকতা চলে আসছে , হযরত আদম আঃ চন্দ্র মাসের ১৪,১৫,১৬ তারিখে রোজা রাখতেন, এই দিনকে আইয়াম বীয বা উজ্জ্বল দিন বলা হয়। এ ছাড়া হযরত নূহ আঃ ১ শাওয়াল ও ১০ জিলহজ্ব ছাড়া সারা বছর রোজা রাখতেন। এমনিভাবে হযরত ইবরাহীম আঃ হযরত মূসা আঃ দাউদ আঃ ইসা আঃ প্রত্যেকে তার নিজ নিজ সময়ে রোজা রাখছেন। এক কথায় পূর্ববর্তী বলতে হযরত আদম আঃ থেকে শুরু করে হযরত ইসা আঃ পর্যন্ত সকল যুগের মানুষকেই বুঝানো হয়েছে। আর এ দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمْ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ‘‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারীতা (তাকওয়া) অর্জন করতে পার’’। (সূরা বাকারাঃ ১৮৩)  এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো এ উম্মত যেন রমাযানের কষ্টের কথা শুনে ঘাবড়ে না যায়। কেননা একাকিত্বের অনুভূতি মানুষকে ঘাবড়ে দেয়। পক্ষান্তরে সে যখন জানতে পারে যে তার উপর আরোপিত বিধান কষ্টসাধ্য হলেও সেটা অভিনব কিছুই নয়। বরং পূর্বেও অন্যরা এ বিধান পালন করেছে। তখন স্বভাবতই সে মানুষিক স্বস্তি ও শক্তি সঞ্চয় করে। তার হিম্মত -মনোবল ও উদ্যম বেড়ে যায়। এমনকি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তার মাঝে সৃষ্টি হয়।তাই উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়।আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمْ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ‘‘কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে যেন এ মাসের রোজা রাখে’’। (সূরা বাকারাঃ ১৮৫) জনৈক গ্রাম্য লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললঃ আমাকে বলুনঃ আল্লাহ আমার উপর রোজা থেকে কি ফরজ করেছেন? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ (شَهْرَ رَمَضَانَ إِلاََّنْ تَطَّوَّعَ شَيْئًا) ‘‘তোমার উপর রামাযান মাসের রোজা ফরজ করা হয়েছে। তবে তুমি এর চেয়ে বেশী নফল রোজা রাখতে পার।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ