• জনপদ

    যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধিঃ সিরাজগঞ্জেের ২০টি বাড়ী-ঘর নদী গর্ভে বিলীন

      প্রতিনিধি ২১ জুন ২০২৩ , ৯:০৯:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মিজানুর রহমান-সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

    বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্রুত গতিতে বাড়ছে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি। একই সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে জেলার অভ্যন্তরীণক নদ-নদীর পানিও। ফলে বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষরা।
    এদিকে,দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার সদর, চৌহালীর এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর উপজেলায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের পাঁচিল গ্রামে অন্তত ২০টি বাড়ি-ঘর ও অর্ধশত গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙ্গনেরর হাত থেকে রক্ষার জন্য দ্রুত ঘর-বাড়ি ও আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন তারা।

    বুধবার (২১ জুন) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট এ নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ১ দশমিক ৩৪ মিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ করতোয়া নদীর পানি উল্লাপাড়া পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার এবং বড়াল নদীর পানি শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি পয়েন্টে বেড়েছে ৬৯ সেন্টিমিটার।

    পাঁচিল গ্রামের মির্জা সরকার, চতুর আলী, আব্দুল আলীম বলেন, দুই দিন আগেও আমাদের বাড়ি ঘর সব ছিল। আজ নদীতে সব হারিয়ে পথে বসেছি। নদী গর্ভে ঘর-বাড়ি বিলীন হওয়ায় কোথাও যাওয়ার মত অবস্থা নেই। মাথা গোজার ঠাই হারিয়ে ভাসমান মানুষে পরিণত হয়েছি। পাঁচিল গ্রামের হযরতআলী , শিপলু সরকার ও জয়মালা খাতুন বলেন,ভাঙ্গন এলাকার পাশেই কয়েক মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদাররা হাজার হাজার বালুর বস্তা প্রস্তুত করে ফেলে রেখে গেছেন। ভাঙ্গন শুরু হলেও সেসব বালুর বস্তা তারা নদীতে ফেলার ব্যবস্থা না করায় চোখের সামনে বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে দেখতে হলো। দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।

    শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ভাঙ্গন রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
    সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। চরাঞ্চলের নিম্নভূমি প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। পানি আরও ২/৩ দিন বাড়তে পারে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি চলছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ