• সাহিত্যে

    মেধার আলো ছড়াচ্ছে ক্যাডেট সারিকা-A71S

      প্রতিনিধি ১২ জুলাই ২০২২ , ৫:৫২:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    পুরো নাম সাদিয়া সাইফুল্লাহ সারিকা পিতা এস এম সাইফুল্লাহ,মাতা শারমীন আরা বর্তমানে মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল খুলনাতে ১০ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। বয়সে ছোটো হলেও সে মেধার ছাপ রেখেছে অনেকদূর। অন্যান্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাফল্যের পাশাপাশি সে অবদান রেখেছে সাহিত্যেও।আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো সারিকার সাহিত্যে পথচলা এবং তার পরিকল্পনা গুলো।

    ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে সারিকার প্রথম বই “শেষ থেকে শুরু “। কিভাবে শুরু হলো সাহিত্যে পথচলা এবং কেমন চলছে লেখালেখি এই প্রশ্নের জবাবে সারিকা বলে, “আমি বরাবর বাংলা কে ভালোবাসি। যদিও ইংলিশ ভার্সন এ পড়ালেখা করি! তবে আমি পাঠ্যবই এর চেয়ে বেশি গল্প , উপন্যাস আর কবিতার বই পড়তাম। কতটা সুন্দর এই বাংলা ভাষা , সেই ব্যাপার টা উপলব্ধি করার চেষ্টা করতে করতে এক সময় আবিষ্কার করলাম ..আমিও লিখতে পারি কিছু!

    প্রতিদিন যা যা হতো , যা যা দেখলাম সব কবিতার ছন্দে সাজানো শুরু করি । এভাবেই সাধনা সফল হয়ে যায়।একদিন মজার ছলে মা কে বলেছিলাম,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এত অল্প বয়সে কি সুন্দর লিখেছিলেন!! তোমার মেয়ের ও একদিন এমন সুন্দর সুন্দর বই হয় যদি! কেমন হবে বলো তো মা!
    মা সেই কথা টা কে বেশ গুরুত্ব দেন । এবং আমাকে প্রতি নিয়ত অনুপ্রেরণা দিতে শুরু করেন..সেখান থেকেই বইয়ের বাস্তবায়ন প্রকল্প শুরু হয়।

    আমার মায়ের একটি ইচ্ছে আছে যে, আমার লেখা কোনো গল্প বা কবিতা একদিন পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে।সাহিত্য জগতে আমি নিজেকে সকলের সস্তির মাঝে দেখতে চাই। বাংলা পাঠকদের সস্তি!”

    ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সারিকা জানায় সে পেশাগত ভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে চায়।সেই লক্ষ্য কে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে।এছাড়া অনেক বড় একটা চ্যারিটি করতে চায়, যা পথশিশু দের কে কেবল দু বেলার খাবার নয় বরং জীবনের সুখ আর হাসি এনে দেবে।
    সে একজন ভালো বক্তা হতে চায়। বাংলাদেশের প্রতিটা বিদ্যালয়ে সকল ছাত্র ছাত্রীদের কে অনুপ্রানিত করতে চায়। দেশের আত্মহত্যার সংখ্যা শূন্য করতে কাজ করতে ইচ্ছুক সে। কথা বলতে চায় সামাজিক সমস্যা আর তার সমাধান নিয়ে।

    প্রথম বই তো প্রকাশিত হলো।পরবর্তী প্রোযেক্ট কি এই প্রসঙ্গে সারিকা বলে, এসএসসি ভ্যাকেশনে যে বইটি লিখবো বলে ঠিক করেছি তার নাম হবে লাইফ অন দ্যা লাইন। আমি কিছু টা আদিম যুগের নিয়ম ভালোবাসি। বর্তমান যুগের খাপ ছাড়া চলাফেরা আমার তেমন ভালো লাগেনা। এখন দিনে দিনে ডিপ্রেসন বাড়ছে ইয়াং জেনারেশন এর মধ্যে। সামান্য পড়া কিংবা পরীক্ষা কে নিয়ে আত্মহত্যা থেকে…পারিবারিক কলহ বা নিজেকে দুর্বল মনে করা! এরকম যত্ত সমস্যা আছে সব কিছুর সহজ সমাধান দেয়ার একটি চেষ্টা।

    মুলত অনুপ্রেরনামূলক বই হবে এটি।আয়মান সাদিক ভাইয়ার বই পড়ে এমন আইডিয়া এসেছে মাথায় !আশা করতে পারি যে আমি আমার মত করেই বেশ সুন্দর করে লিখতে পারবো।আর আমার অন্যতম বড় একটি প্রোযেক্ট আমার বই এ একটি নতুন ফিকশন চরিত্র আবিষ্কার করতে চাই! বিদেশি স্পাইডার ম্যান থেকে শুরু করে হ্যারি পটার এর মত জনপ্রিয় চরিত্র যদি সৃষ্টি হতে পারে তবে আমাদের মধ্য থেকে কেনো হবে না! বইটির নাম হতে পারে সুপার ক্যাডেট ! বেশ ইন্টারেস্টিং একটা বই লিখতে চাচ্ছি..

    যেটার কভার করতে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের একজন আর্টিস্ট সিনিয়র ক্যাডেট আমাকে সাহায্য করছেন।এছাড়াও ক্ষতচিহ্ন নামে একটি উপন্যাস লেখার জন্যে মনস্থির করেছি।। কবে শুরু করতে পারবো তা এখনো জানা নেই।” সাহিত্যে তার আকাঙ্খা জানতে চাইলে সে বলে,”আমি চাই বাংলা সাহিত্যের আবার এক জাগরণ হোক। নতুন রবীন্দ্রনাথ, নতুন কাজী নজরুল কিংবা ক্ষুদে সুকুমার রায়ের আবিষ্কার হোক। পাঠকেরা এবং বর্তমান তরুণ সমাজ ডিজিটাল ফোন স্ক্রিন কিংবা মোবাইল গেম আসক্তি থেকে বইয়ের কাছে ফিরে আসুক। ”

    দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদের পক্ষ থেকে সারিকার জন্য রইলো অনেক শুভ কামনা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ