• শিক্ষা

    মুরাদনগর ভাইড়া আরিফ স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ২৯ নভেম্বর ২০২২ , ১:১৯:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টার:

    কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার টনকি ইউনিয়নের বাইড়া মোহাম্মদ আরিফ হাইস্কুল এন্ড কলেজে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অফিস সহায়ক, আয়া ও ল্যাব সহকারী পদে মোট ৫ জনকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি আলী ইমাম কাউছার রুবেলের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করতে প্রার্থীর পরিবর্তে অন্যকে দিয়ে পরিক্ষা নেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

    এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন আশাবেঞ্জক সুরাহা পাচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। তবে এসব কিছুই অস্বীকার করেছে গভর্নিং বডির সভাপতি আলী ইমাম কাউছার রুবেল। পদার্থ ল্যাব সহকারী ও রসায়ন ল্যাব সহকারী (কলেজ শাখা) নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী তাছলিমা আক্তার ও মো. আনিসুর রহমান বলেন, বিভিন্ন অনিয়ম উল্লেখ করে গত ২১ সেপ্টেম্বর মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ করেছেন। তবে তদন্তের জন্য এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি।রঅভিযোগ ও গভার্নিং বডির সদস্য এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে বিভিন্ন পদে ৫ জন লোক নিয়োগ দিয়েছে একক আধিপত্যে সভাপতি আলী ইমাম কাউছার রুবেল। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও দোকানপাটে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। যার ফলে নিয়োগ সংক্রান্ত মিটিংয়ে স্বাক্ষর করেনি ৬ জন গভার্নিং বডির সদস্য।

    সরেজমিনে আরো জানা যায়, ওই সভাপতির কথার বাইরে কাজ করায় বেশ কিছু দিন আগে কলেজটির অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নির্বাচিত সদস্যরা সভাপতি হিসেবে সাবেক সভাপতি ও বিভাগীয় প্রধান (ইংরেজি) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সবেক সহযোগী অধ্যাপক ফজলুল রহমানের নাম অভিবাবক ও এলাকাবাসীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঠানো হয়। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে আলী ইমাম কাউছার রুবেল প্রতিষ্ঠানের একটি পক্ষকে ব্যবহার করে ওই প্রস্তাব গায়েব করে বোর্ডে নিজের নাম পাঠান এবং কৌশলে সভাপতি হয়ে আসেন।

    টনকি ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান তানিম বলেন, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের পদ শূণ্য হওয়ার আগেই সভাপতি কারো সাথে আলোচনা ছাড়াই নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তার একক অধিপত্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এখন বেহাল অবস্থা। বাইড়া মোহাম্মদ আরিফ হাইস্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি আলী ইমাম কাউছার রুবেল মুঠো ফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার কোন কিছুই আমি জানি না। আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উপকমিটির সাবেক সদস্য তাই কিছু বিএনপির লোক আমার পিছনে লেগেছে।

    স্থানীয় চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তুহিন বলেন, বাইড়া মোহাম্মদ আরিফ হাইস্কুল এন্ড কলেজটিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছে সভাপতি রুবেল। তার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অনেক অভিযোগ। নিয়োগ বানিজ্য থেকে শুরু করে এমন কোন কাজ নেই তিনি করেন না। প্রতিষ্ঠানটি বাচাঁতে এর একটি সঠিক বিহিত হওয়া দারকার। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভূইঁয়া জনি বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তভার মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে দিয়েছি। রির্পোটের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ