• Uncategorized

    মানিকগঞ্জের গোলড়ায় ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

      প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২০ , ২:০৯:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    মানিকগঞ্জের গোলড়া গ্রামে বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় সাদ্দাম মিয়া নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন করাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

    বুধবার বিকালে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই রায় দেন। এ মামলার আরো দুই আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। প্রায় ৮ বছর পর এই মামলার রায় ঘোষনা হলো।

    যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সাদ্দাম মিয়া মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার গোবর নার্চি গ্রামের মো. আহম্মেদ আলীর ছেলে। বেকসুর খালাস পাওয়া আসামীরা হলেন -সাভারের আশুলিয়ার বাসিন্দা হরিরাম সরকারের ছেলে সম্ভু সরকার এবং ধামরাই এলাকার আমির পালের ছেলে তপু পাল।

    মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানাযায়, ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর আসামী সাদ্দাম মিয়া বিয়ের প্রলোভনে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে স্কুলছাত্রী তুহিন সুলতানা আক্তার মিমকে নিজ বাড়িতে ধর্ষণ ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তার গায়ের স্বর্ণালংকারসহ ঘরে থাকা নগদ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এই স্বর্ণালংকার অপর আসামী সম্ভু সরকার এবং তপু পালের কাছে বিক্রি করা হয়।

    এ ঘটনায় মিমের বাবা ছানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।পরের বছর এই মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় ১৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন আদালত।

    আদালত সাদ্দাম মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিলেও, সম্ভু সরকার ও তপু পালকে বেকসুর খালাস দেন। সাদ্দাম মিয়ার বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার গোবর নার্সি গ্রামে।

    মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালের পিপি কে এম নুরুল হুদা রুবেল। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন নজরুল ইসলাম বাদশা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ