• Uncategorized

    মতলব উত্তরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে হাত-পা ভেঙ্গে পায়ের রগ কেটে  দিয়েছে  প্রতিপক্ষ

      প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২০ , ৯:৫১:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো.তুহিন ফয়েজ:

    মতলব উত্তরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে  এলোপাথারীভাবে মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে পায়ের রগ কেটে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ ৷ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে চলমান ২টি  মামলা সহ পুর্বে  একাদিক মামলাও করা হয়েছিল  ৷

    গুরুতর আহত মোঃ জাকির হোসেন বড় হলদিয়া গ্রামের মৃত আঃ গণির ছেলে ৷

    মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়,মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের বড় হলদিয়া গ্রামের  মৃত আঃ গণির ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (৫০  ) ১২ জুন ২০২০ইং তারিখ ভোর ৬টায়  তার নিজ বাড়ী হতে এখলাছপুর হয়ে  ঢাকা যাওয়ার পথে ছোট  হলদিয়া সাকিনস্থ নজির প্রধানের বাড়ী ও মালু বক্স বাড়ীর  মাঝামাঝি কড়ই গাছ সংলগ্ন রাস্তার উপর আসার পর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে  ফয়সাল প্রধান ( ২৬), মোসাঃ শিখা ( ২৮) উভয়  পিতা- আবুল কাসেম প্রধান, আবুল কাসেম  ( ৫৫ ) পিতা- মৃত আঃ জলিল, মোসাঃ লিলি ( ৪৮) স্বামী আবুল  কাসেম প্রধান, এলোপাথারীভাবে মারধর করে মোঃ জাকির হোসেনের  বাম পায়ের রগ কেটে পেলেন এবং এলোপাথারীভাবে বাইরাইয়া বাম হাত ও  বাম পা ভাঙ্গিয়া ফেলেন এবং  হত্যার উদ্দেশ্যে  গলায় চুরি দিয়ে পোচ দেয় ৷

    এসময়  মোঃ জাকির হোসেন ডাক- চিৎকার দিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়লে জাকির হোসেনের পকেটে থাকা ২৫ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ৷

    পরে  মোহাম্মদ হোসেন (৬৫)  পিতা- মৃত আঃ গণি,ফজলুল হক (৭০) পিতা- মৃত গোলাম রসুল,আহসান উল্লাহ (৭০) পিতা- মজিদ প্রধান,জয়নাল উদ্দিন (৫০) পিতা- তাফাজ্জল হোসেন,সর্ব সাং ছোট হলদিয়া কেয়াম উদ্দিন (৫২ ) পিতা- মৃত আঃ জব্বার খান,সাং উদামদী ডাকঘর ফরাজীকান্দি ৷ তারা  জাকির হোসেনকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ভর্তি করান সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসারপর  তার অবস্থা আসংকা জনক দেখে মোঃ জাকির হোসেনকে  উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করেন৷ বর্তমানে মোঃ জাকির হোসেন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ছেন  ৷

    এব্যপারে মোঃ জাকির হোসেনের স্ত্রী আকলিমা বেগম ( ৪০)  বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং- ১৪ তারিখ- ১৯/ ৬/ ২০২০ইং৷ ধারা ১৪৩/ ৩২৩/ ৩০৭/ ৩২৪/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩৭৯ পেনাল কোড রুজু করা হয় ৷

    মামলার বাদী আকলিমা বেগম আরোও জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে আবুল কাসেম ও তার লোকজনের সাথে পূর্ব থেকেই জায়গা- জমি ও মামলা – মোকদ্দমা নিয়া বিরোধ চলে আসছিল মামলার ১ নাম্বার স্বাক্ষী মোঃ জাকির হোসেন  জায়গা- জমি ও মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত বিষয়ে অভিজ্ঞ থাকায় পূর্ব থেকেই  মোঃ জাকির হোসেনকে মেরে ফেলার জন্য গভীর  ষড়যন্ত্র  করতে থাকে তারা ৷

    আবুল কাসেম ও তার লোকজনের  বিরুদ্ধে আমার স্বামী মোঃ জাকির হোসেন একটি সিআর ২৬/ ২০০৭ মামলা করেন এ মামলায় আবুল কাসেমের ৩ মাস সাজা হয়   এবং একটি জিআর ৪৭/ ২০০৮ মামলা হয় সে মামলাতেও  আবুল কাসেম ৩ মাস জেল খেটেছে  এবং আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে মতলব উত্তর থানায় একটি জিডিও রয়েছে ৷

    এছাড়াও আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে আদালতে একাদিক মামলাও করেছিলেন মারধরের শিকার আমার স্বামী  মোঃ জাকির হোসেন ৷ তাই আবুল কাসেম ও তার লোকজন আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১২ জুন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাত-পা ভেংঙ্গে পায়ের রগ কেটেফেলেন এবং লোহার রড,কাঠের রুলার দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারধর করে মারাত্বক নিলা- ফুলা থেতলানো জখম করেন ৷

    বর্তমানে আমার স্বামী ১২ জুন হতে এখন পর্যন্ত  ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ছে ৷ আমার স্বামী মোঃ জাকির হোসেনকে   আবুল কাসেম সহ যারা মারধর করেছে আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি  তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃস্টান্তমূলক সাস্তির দাবি করছি ৷

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ