• Uncategorized

    পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সিকিউরিটি গার্ড কতৃক রোগীর স্বজনকে মারধর,আহত ১!

      প্রতিনিধি ১ মে ২০২১ , ১২:১৬:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান রোগীর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যাক্তিগত টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গেলে হাসাপাতালের ভিতরে ডাঃ আতিকুর রহমান এর সিকিউরিটি গার্ড ইলিয়াসকে অনুরোধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এসময় নির্মমভাবে বাশঁদিয়ে রোগীর স্বজন,২ নং বদরপুর ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী মোসাঃচম্পা বেগম (৫০)কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

    গত ৩০শে এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ১.৩০মিনিটের সময় হাসপাতালে এই হৃদয়হীন ঘটনাটি ঘটে।বর্তমানে রোগী পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের ১০ নং বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।অভিযোগ সুত্রে যানাযায়, পটুয়াখালী সদর থানায় ২ জনকে বিবাদী করে একটি সাধারণত ডায়েরী করা হয়েছে। অভিযুক্তকারীরা হলেন ১.মো,ইলিয়াস হোসেন খাঁ (৫০) পিতা,মৃত্যু সওকত খাঁ,সাং, পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল পটুয়াখালী ২. ডাঃ মো,আতিকুল রহমান জেনারেল হাসপাতাল পটুয়াখালী থানা ও জেলা পটুয়াখালী।

    সরেজমিন অনুসন্ধানে জানাযায়,এব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানায় বিষয়টি অবহিত করলে, সদর থানার ওসি আখতার মোর্সেদ ঘটনাস্থলে এ,এস,আই, গিয়াস উদ্দিনকে পাঠায়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় রোগীর স্বজনদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে বলেন পুলিশ।।

    এবিষয়ে মোসাঃচম্পা বেগমের ভাই জসিম বলেন, পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ডাঃ আতিকুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বলেন, এনিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনাদে সিজারিয়ান রোগীর বড় দরনের সমস্যা হয়ে যাবে তিনি আরও বলেন এটা একটি ছোট খাট ব্যাপার এটা নিয়ে আপনারা কিছুই করতে পারেন না।উক্ত ঘটনার বরাত দিয়ে ভুক্তভোগী চম্পা বেগম বলেন,আমি একজন ইউপি প্রার্থী আমি অনেক বুধিয়ে বলেছি আমার একটু পানির দরকার, আমার কথার কোন মুল্যেই দিলনা বরং আমার উপর চরাও হয়ে আমাকে বাশঁ দিয়ে পেটালো আমি এর সঠীক বিচার চাই।

     

    অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ছেলের বউকে দেখতে আসেন চম্পা বেগম(৫০) রোগীর পানি আনতে গেলে হসপিটালের সামনের টিউবওয়েল নষ্ট থাকার কারনে ডাঃ আতিকুর রহমান এর বাসার সামনের টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। সিকিউরিটি গার্ড ইলিয়াস তাকে পানি নিতে নিষেধ করে।পিপাসা নিরাসনের জন্য পানি নিতে অনুনয় বিনয় করিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য কে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।চম্পা বেগম গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ডাঃ আতিকুর রহমান এর নির্দেশে গার্ড ইলিয়াস বাশের লাঠি দিয়ে নারীকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। চম্পা বেগমের ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে, এবং তার স্বজনরা চলে আসে এসময় বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। মারধরের কারণে চম্পা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।এবং পুলিশের সহায়তার কথা বললে থানা পুলিশ কি করবে বলে হুমকি দেয় ডাঃ আতিকুর রহমান।

    এ ব্যাপারে অভিযুক্তকারী ডাঃ আতিকুর রহমান ও গার্ড ইলিয়াসের বক্তব্য নিতে গেলে তাদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।এব্যাপারে আহত চম্পা বেগমের স্বামী আঃ রহিম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি সাধারণত ডায়েরী করেন যার ডায়েরী নং ১০২০।এদিকে ভুক্তভোগীর পরিবার সঠিক বিচারের দাবী জানান,এবং উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের জোড় হস্তক্ষেপের কামনা করেন। এসময় আরো বলেন আর কাউকে জেন এইভাবে পানি আনতে গিয়ে আর কোন নারী পুরুষের হাতে নির্মম ভাবে অত্যাচারের শিকার না হয় এমনটাই জানান।।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ