• শিক্ষা

    বৈসাবির রঙে রঙিন বেরোবি-A71S

      প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২২ , ৪:৩০:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    সিদ্দিক বেরোবি প্রতিনিধি:

    বৈসাবি উৎসব হচ্ছে পার্বত্য জেলা বসবাসরত আদিবাসীদের যে কয়েকটি উৎসব আছে তার মধ্যে অন্যতম । বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) তে প্রথম বারের মতো বুধবার (১৩ তারিখ) বেলা ১১ টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল ফিল্ডে অনুষ্ঠিত হয় বৈসাবি উৎসব। সকাল এগারোটা শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবং দুপুর ২ টা জলকেলি খেলা এবং নাচের মাধ্যমে সমাপ্তি হয়।

    ত্রিপুরা ,মারমা ,চাকমা ছাড়াও অন্যান্য আদিবাসীরাও এ উৎসব পালন করে থাকে। এই উৎসব মূলত নববর্ষের তিন দিন আগে থেকে পালন করা হয়।ত্রিপুরাদের হচ্ছে বৈসুক , মারমাদের সাংগ্রাই এবং চাকমাদের বিজু। এই তিনটি উৎসবের সংক্ষিপ্ত রূপকে বৈসাবি নামে অভিহিত করা হয়। ছেলে মেয়ে সবাই নিজস্ব পোশাক পরিধান করে এবং পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। ঘরবাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো এবং বিভিন্ন রকমের সবজি একত্রিত ঘরে রান্না করে থাকে যাকে আমরা পাজন তরকারি বলি।

    লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মথী ত্রিপুরা বলেন,আজ বৈসাবি উৎসব দ্বিতীয় দিনের অর্থাৎ বাংলা নববর্ষের দিনে দক্ষিণবঙ্গের পার্বত্য চট্টগ্রামের মত উত্তরবঙ্গের অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর অধ্যায়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীরাও বৈসাবি উৎসব পালন যেটা অনেক আনন্দদায়ক, একই সাথে যা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসের প্রথম বারের মত বৈসাবি উৎসব পালন ।১২ তারিখ ফুল বিজু পালন করা হয় ।এই দিনে নদীতে ফুল ভাসানো হয়। এই বৈসাবি আমরা সবাই নিজের সংস্কৃতি ভাষা এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরি। বৈশাখী নাচ গান বিভিন্ন খেলাধুলা এবং জলকেলি পালন করে থাকে। এই উৎসব অংশগ্রহণ করতে পেরে আমাকে খুব ভালো লেগেছে ।পরবর্তীতে বছর গুলোতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে আশা করি।

    ফনে বিকাশ ত্রিপুরা (একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী) তিনি বলেন , আজকে বৈসাবি উৎসবের ত্রিপুরা ভাষা বৈসু, চাকমা ভাষা বিজু এবং মারমা ভাষা সাংগ্রাই বলে থাকি। আজকে অনুষ্ঠানের র্্যালি পর পরেই ঘিলা খেলা ( যা ত্রিপুরা ভাষা সুকৈই খেলা), তারপর হাঁড়িভাঙ্গা এবং জল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। অবশেষে ত্রিপুরা গানের মাধ্যমে কিছু নাচ এবং গান হয় । পুরাতন বছরের সকল দুঃখ, কষ্ট ভুলে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয় এই উৎসব এর মাধ্যমে।সকাল এগারোটা শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আমাদের উৎসব এবং দুপুর ২ টা জলকেলি খেলা এবং নাচের মাধ্যমে সমাপ্তি হয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ