• বরিশাল বিভাগ

    বাউফলে হাঁড়িভর্তি স্বর্ণ দেওয়ার নামে দুই লাখ টাকার প্রতারণা

      প্রতিনিধি ২৬ মে ২০২২ , ১২:৩০:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    আরিফুল ইসলাম কারীমী-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    দুই লাখ টাকা দিলে ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে হাড়ি ভর্তি সোনা পাওয়া যাবে। এমন প্রলোভনে রুবেল মোল্লা (৪২) নামের এক প্রতারকের বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব কালাইয়া নবরত্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই প্রতারককে আটক করে পুলিশ। প্রতারক রুবেল ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার আব্দুর রব মোল্লার ছেলে।

    জানা গেছে, তিন মাস আগে রুবেল মোল্লা কালাইয়া ইউনিয়নে আসেন। এরপর নিজেকে বিশেষ ক্ষমতার মালিক দাবি করে পূর্ব কালাইয়া নবরত্ন গ্রামের এক বাড়িতে উঠে বসবাস শুরু করেন।সুযোগ মতো ওই বাড়ির সদস্যদের জানান, তার সঙ্গে ঝুমকা ও রতন মালা নামে দুই পরী থাকে। ওই পরী দিয়ে তিনি মাটির নীচের গুপ্তধন বের করে আনতে পারেন। বাড়ির লোকজনকে তিনি জানান, তাদের ঘরের মেঝের নীচেও ৩টি হাড়ি আছে। সেগুলো বের করতে হলে তাকে দুই লাখ টাকা দিতে হবে।

    বাড়ির সদস্য মুক্তা বেগম (২৫) বলেন, আমরা প্রতারক রুবেলকে ১লাখ ৭০ হাজার টাকা দিলে রাতের বেলা ঘর বন্ধ করে ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে একটি মাটির হাঁড়ি বের করে। যার মধ্যে বেশ কিছু অলঙ্কার দেখা যায়।স্থানীয় একটি সোনা-রুপার দোকানে নিয়ে গেলে সেগুলো দস্তার তৈরী বলে জানান স্বর্ণকার। এরপর পুলিশকে খবর দিলে রুবেল মোল্লাকে আটক করে নিয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতারক রুবেল এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে এ ধরনের প্রতারণা করে ১০ লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

    অভিযোগ অস্বীকার করে রুবেল মোল্লা বলেন, তিনি মাত্র ২০ হাজার টাকা মুক্তাদের কাছ থেকে নিয়েছেন। তার মধ্যে অসীম শক্তি আছে। যার মাধ্যমে হাঁড়ির গহনাগুলো সোনায় পরিণত করতে পারবেন।বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, প্রতারণার শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ