প্রতিনিধি ৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ৮:৪৭:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতির মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক। জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক,বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আবুল কালাম আজাদ মেডিসিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও গভীর সমবেধনা জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার বাদ জুম্মা আবুল কালাম আজাদ মেডিসিনের নামাজে জানাযায় শরিক হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি এ কথা জানান।সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেন,আবুল কালাম আজাদ মেডিসিনের মৃত্যুতে আওয়ামীলীগের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমরা হারালাম দীর্ঘদিনের এক পরীক্ষিত মুজিব সৈনিককে।
আমার বিশ্বাস বকশীগঞ্জে আওয়ামীলীগের যত নেতাকর্মী আছে তাদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন সবচেয়ে ভালো মানুষ ছিলেন। তার রাজনৈতিক বিচক্ষনতা,দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি তার ভালোবাসা ও দলের প্রতি তার দায়িত্বশীলতা থেকে অনেক কিছুই শেখা আছে।
আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন ছিলেন একজন নীতিবান সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,জেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা আওয়ামীলীগ গভীরভাবে শোকাহত। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি নিরঅহংকারী সাদা মনের এই মানুষটিকে যেনো বেহেশত নসীব করেন।
শুক্রবার বাদ জুম্মা পৌর শহরের মালিরচর নয়াপাড়া তার নিজ বাড়ির সামনে জানাযায় মানুষের ঢল নামে। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় প্রিয় নেতাকে বিদায় জানাতে দলীয় নেতাকর্মীরা জানাজায় অংশ গ্রহন করেন। ফুল দিয়েও শ্রদ্ধা জানায় দলীয় নেতাকর্মীরা। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী,ইমাম, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক হাজার মানুষ তার জানাযায় শরীক হয়। নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার পিতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
আবুল কালাম আজাদ মেডিসিনের মৃত্যুতে জামালপুর-১ আসনের সাবেক তথ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ এমপি গভীর শোক ও সমবেধনা জানিয়েছেন।
আবুল কালাম আজাদ মেডিসিনের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ,সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী,সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান ছানা,সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল আমীন চাঁন, শেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীব রুমান, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, মাদারগঞ্জ পৌর মেয়র মির্জা কবির,বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা আবু জাফর,সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন ফুরকান,সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন,সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক আগা সাইয়ুম প্রমূখ।
উল্লেখ্য ,বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মালিরচর নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গত প্রায় এক মাস পূর্বে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। প্রায় ১০ দিন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। মৃত্যুকলে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্বীয় এবং গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় নয়াপল্টন সিটি হার্টের সামনে ও বেলা তিনটায় গাজীপুরের হোতাপাড়ায় দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এলাকায় তিনি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী,সৎ ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত পরিচিত ছিলেন