• রাজশাহী বিভাগ

    পাবিপ্রবিকে ১০০ একরে উন্নীত করা হবে:পাবিপ্রবি উপাচার্য

      প্রতিনিধি ৬ জুন ২০২২ , ৫:৪১:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    নাজমুল ইসলাম-পাবনা:

    পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পাবিপ্রবি) উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন বলেছেন,”পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (পাবিপ্রবি) ১০০ একরে উন্নীত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।ইতোমধ্যে এই বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আমি নিজেও সেই কমিটিতে আছি। রবিবার (৫ জুন) ১৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, সবাইকে নিয়ে একসাথে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটি কাজের মধ্যে আমাদের একাগ্রতা ও প্রকৃত ইচ্ছা থাকতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে কাজ করা এবং সবার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। তিনি বলেন, সম্মান প্রদানেই সম্মান ফিরে পাওয়া যাবে। প্রতিটি জায়গা থেকে যার যে কাজ সেটা করতে হবে এবং কাজের স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। তিনি আরও বলেন আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন বিষয়ে অবদান রাখছে। তাঁদেরকে আমাদের বেশি বেশি অনুপ্রেরণা দিতে হবে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর বাড়ানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণরসায়ন সম্পর্কিত বিভাগ খোলারও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
    আনন্দঘন, উৎসবমুখর ও বর্ণিল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছর ১৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।সকাল ৯ টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত,

    ইলিশ ও পাটের জিনরহস্য আবিষ্কারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকা প্রাণরসায়ন বিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাসিনা খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রাণরসায়ন বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হাসিনা খান বলেন, “জীবনে কোনো ভালো কাজ সংগ্রাম ছাড়া সম্ভব হয়না। মেয়েদের আরো বেশি প্রতিকূলতার মধ্যে সংগ্রাম করতে হয়। মেয়েদের বিজ্ঞান শিক্ষায় এগিয়ে আসার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, জীবনে ভালো কিছু পেতে হলে আমাদের নির্লোভ, সৎ, মিতব্যয়ী এবং সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জীবনে ক্ষতিকর বিষয়গুলোকে প্রতিহত করতে হবে। চলার পথে প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। ”

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, গবেষণাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদেরকে মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।” সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, “শিক্ষার্থীদের আনন্দের সাথে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষামূলক কর্মকান্ডেও নিজেদের মনোযোগী করে তুলতে হবে।”

    কবি বন্দে আলী মিয়া মুক্তমঞ্চ উদ্বোধন, জনক জ্যোতির্ময়, শহীদ মিনার ও স্বাধীনতা চত্বরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বৃক্ষরোপণ ও রক্তদান কর্মসূচি, শিক্ষার্থীদের নান্দনিক ফ্ল্যাশমব পরিবেশনা, ২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অবহিতকরণ, ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা পুরস্কার বিতরণ, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পরিবেশনা এবং ব্যান্ড দল ‘জলের গান’ এর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষীকির এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ