• আইন ও আদালত

    পাচার রোধে বিজিবির ভূমিকা প্রশংসনী

      প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ৩:১৩:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্কঃ

    মাদক, নারী ও শিশু পাচার রোধে বিজিবির দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রসংশা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি এখন জল, স্থল ও আকাশ পথে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে বিজিবি দিবস-২০২১ উদযাপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর পিলখানাস্থ বিডিআর সদর দপ্তরে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষাসহ চোরাচালান, মাদক পাচার ও নারী-শিশু পাচার রোধে বিজিবির কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বলেন, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে সহায়তা করাও আপনাদের অন্যতম দায়িত্ব। সংসদীয় নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং বিভিন্ন সময়ে উদ্ভুত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও দেশ গঠনমূলক কাজে আপনাদের ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসীত হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা, আপনারা দেশপ্রেম, সততা ও শৃঙ্খলার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন চেইন অব কমান্ড রক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন, শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড শৃঙ্খলা বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। কখনো শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। তাতে নিজেদেরই ক্ষতি। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন। কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলা শৃঙ্খলা বাহিনীর অবশ্য কর্তব্য।

    প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে এর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে এ বাহিনীকে যুগোপযোগী সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০ প্রণয়নসহ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ এর পরিকল্পনা নেয়।

    তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাহিনীর জনবল ৯২ হাজারে উন্নীত করা হবে। শিগগিরই অবশিষ্ট প্রায় দেড়শ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্তকে নজরদারির আওতায় আনা হবে।বিজিবির ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ঐতিহ্যবাহী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর গর্বিত সদস্য। এ বাহিনীর রয়েছে ২২৬ বছরের গৌরবময় ইতিহাস। ১৭৯৫ সালে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন নামে প্রতিষ্ঠার পর হতে কালের পরিক্রমায় এ বাহিনী আজ একটি সুসংগঠিত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

    ইপিআরের প্রায় সাড়ে ১২ হাজার বাঙালি সৈনিক সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং ৮১৭ জন শাহাদত বরণ করেন। ইপিআরর দুজন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ এবং শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ আমাদের গর্বের প্রতীক।দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর পরই বিডিআর এ সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আমরা সরকার গঠন করি। সরকার গঠনের ১ মাস ১৯ দিনের মাথায় ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। যা দ্রুত সমাধান করি।

    তৎকালীন বিডিআরর ট্রাজিক ঘটনায় শহীদ ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মৃত্যুবরণ করেন। সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিজিবির আট কর্মকর্তা ও সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন।প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় একটি সুসজ্জিত দল তাকে অভিবাদন জানায়।

    প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিজিবি সদস্যদের বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি পদক বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।বক্তব্য শেষে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় নব নির্মিত সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ